জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এএফসি কাপের গ্রুপ লিগের শুরুতেই বড়সড় ধাক্কা খেল এটিকে মোহনবাগান (AFC Cup 2022, ATKMB vs GKFC)। বুধবার বিকেলে ঘরের মাঠে সদ্য আই লিগ জয়ী গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে হারতে হল কলকাতার দলকে। এ দিন কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পরে ৪-২-এ জিতে এএফসি কাপের অভিষেক স্মরণীয় করে রাখল কেরালার দল। প্রথমার্ধে একাধিক অবধারিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার মাশুলই দিতে হয় হিরো আইএসএলের সেমিফাইনালিস্টদের। প্রথমার্ধের শেষ দিকে নির্ভরযোগ্য স্প্যানিশ সেন্টার ব্যাক তিরি চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তাদের রক্ষণে যে ফাটল তৈরি হয় তা আর মেরামত করা যায়নি। সেই ফাটলকে কাজে লাগিয়েই একের পর এক গোল করে যায় গোকুলম কেরালা এফসি।
এ দিন প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক এটিকে মোহনবাগানকে আটকে রাখার পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলার স্টাইল পাল্টে বিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয় গোকুলম কেরালা। শুরুতেই গোল পেয়ে যান স্লোভেনিয়ান ফরোয়ার্ড লুকা মাজেন। দলের তৃতীয় গোলটিও তাঁর। এ ছাড়া নবাগত ও পরিবর্ত ফরোয়ার্ড রিশধ পুথানভিতিল ও পরিবর্ত হিসেবে নামা আর অপর ফরোয়ার্ড জিতিন সুব্রন গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন। এটিকে মোহনবাগানের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল ও লিস্টন কোলাসো ব্যবধান কমালেও শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি তাদের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই তিরি-হীন বাগান রক্ষণের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করে আই লিগজয়ী গোকুলম কেরালা। এবং শুরুতেই গোল পেয়ে যায় তারা। ৫০ মিনিটের মাথায় বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ক্রস দেন তাহির জামান, যা পেয়ে বক্সের মাঝখান থেকে সোজা গোলে শট নেন লুকা। গোল খাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে সবুজ-মেরুন শিবির এবং পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। ৫৩ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে বল পেয়ে কোলাসো ক্রস দেন বক্সে থাকা প্রীতম কোটালকে। অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার গোলে বল ঠেলতে ভুল করেননি। সমতা আনার পরে ফের ব্যবধান তৈরির চেষ্টা শুরু করে এটিকে মোহনবাগান।
এটিকে মোহনবাগান ফের ধাক্কা খায় নবাগত ফরোয়ার্ড রিশধের গোলে। জুরদেন ফ্লেচারের পাস থেকে বক্সের মাঝখান থেকে যখন গোলে শট নেন তিনি, তখন প্রায় অরক্ষিতই ছিলেন। ২-১-এ এগিয়ে যায় কেরালা। প্রথমার্ধে তারা যতটা রক্ষমাত্মক ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে গোকুলমকে ততটাই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায়। সমতা আনার উদ্দেশ্যে ৬৪ মিনিটের মাথায় লেনি রড্রিগেজের জায়গায় কিয়ান নাসিরিকে নামান কোচ ফেরান্দো। কিন্তু ৬৫ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় কেেরালার সেরা দল। এই গোলেরও নেপথ্যে ছিলেন জুরদেন ফ্লেচার। তাঁর দেওয়া পাসেই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করে ফেলেন লুকা।
দু’গোলে পিছিয়ে যাওয়া ‘ফেভারিট’ এটিকে মোহনবাগান শেষ দশ মিনিটে ব্যবধান কমানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে এবং ৮০ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিক থেকে করা লিস্টন কোলাসোর অনবদ্য গোলে দল কিছুটা চাঙ্গাও হয়। এটিকে মোহনবাগান দ্বিতীয় গোল করার পরে যখন ফের সমতা আনার চেষ্টা শুরু করছিল, ঠিক তখনই ৮৯ মিনিটের মাথায় চতুর্থ গোলটি করে গোকুলমের জয় সুনিশ্চিত করেন জিতিন সুব্রন। এর পরে আরও ছ’মিনিট (বাড়তি সময় নিয়ে) হাতে পেলেও এই সময়ের মধ্যে আর কিছু করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান।
এটিকে মোহনবাগান দল: অমরিন্দর সিং (গোল), প্রীতম কোটাল (অধি), তিরি (আশুতোষ মেহতা, রবি রাণা), শুভাশিস বোস, প্রবীর দাস, জনি কাউকো, লেনি রড্রিগেজ (কিয়ান নাসিরি), ডেভিড উইলিয়ামস, মনবীর সিং, রয় কৃষ্ণা, লিস্টন কোলাসো।
(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েব সাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)