এটিকে মোহনবাগানের চাই ড্র, বসুন্ধরাকে জিততেই হবে এএফসি কাপের ম্যাচে

এটিকে মোহনবাগানের চাই ড্রছবি: এটিকে মোহনবাগানের টুইটার থেকে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এটিকে মোহনবাগানের চাই ড্র আর জিততেেই হবে তাদের প্রতিপক্ষকে। মঙ্গলবার এএফসি কাপের ম্যাচে ড্রয়ের কথা মাথায় রেখে নামতে রাজি নয় সবুজ- মেরুন শিবির। গত ম্যাচে মাজিয়া এসআরসি-কে ৩-১ হারানোর পরে কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস যে কথা বলেছেন, দলের ফুটবলাররাও সেই কথাই বলছেন। জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে মরিয়া তারা। উল্টোদিকের দলটার নাম বসুন্ধরা কিংস, যারা গত দুই ম্যাচে একটাও গোল হজম করেনি ও হারেনি। দ্বিতীয়ত, দলের শেষ ম্যাচে প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স এবং তৃতীয় ও প্রধান কারণ, ফরাসি মিডফিল্ডার হুগো বুমৌসের না থাকা।

হুগো-হীন সবুজ-মেরুন মাজিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে বুমৌস মাঠে নামার পরে মাঝমাঠের সমস্যা মেটে এবং দলটা অনেক সঙ্ঘবদ্ধ হয়। গোলের সুযোগও অনেক বেশি তৈরি করেন বুমৌস। কিন্তু ৮০ মিনিটের মাথায় বিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাওয়ায় অনেকের অলক্ষ্যে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। এই ঘটনাটা সবুজ-মেরুন শিবির খেলার শেষেও জানত না। কারণ, ম্যাচের শেষে এএফসি-র ওয়েবসাইটে ফুটবলারদের তালিকায় কোনও হলুদ কার্ডের উল্লেখও ছিল না। পরে রেফারির রিপোর্টে বুমৌসকে হলুদ কার্ড দেখানোর ঘটনার উল্লেখ দেখে এএফসি ক্লাবকে জানিয়ে দেয় মঙ্গলবার বসুন্ধরার বিরুদ্ধে খেলতে পারছেন না তিনি।  পর পর দু’ম্যাচে কাডর্ দেখে মাঠের বাইরে তিনি।

দুর্বল মাঝমাঠ গোল করার লোকের অভাব নেই সবুজ-মেরুন শিবিরে। দুই ম্যাচে পাঁচটি গোল করেছে তারা। এর মধ্যে দু’টি গোল করেছেন রয় কৃষ্ণা। বাকি তিনটি শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিংয়ের। রক্ষণে তরুণ সুমিত রাঠি ছন্দে না থাকলেও অভিজ্ঞ প্রীতম কোটাল ও শুভাশিস যথেষ্ট ভাল ফর্মে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ভারতীয় দলের ডিফেন্ডার আশুতোষ মেহতাকে শুরু থেকেই নামানো হলে রক্ষণ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। হাবাসের দলের প্রধান সমস্যা মাঝমাঠ নিয়ে, যেখানে কার্ল ম্যাকহিউকে রাখা হলে হয়তো তিনি বেশি কার্যকরী হয়ে উঠতে পারেন। দীপক টাঙরি, লেনি রড্রেগেজদেরও আরও তৎপর হতে হবে এই ম্যাচে।

কিক অফবিকেল ৪.৩০

লাইভ টিভি সম্প্রচারস্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক

বাংলা ধরাবিবরণীস্টার স্পোর্টস ৩, স্টার স্পোর্টস ১ বাংলা

লাইভ স্ট্রিমিংডিজনি হটস্টার ভিআইপি এবং জিও টিভি

ছন্দের খোঁজে বসুন্ধরা  সদ্য সে দেশের প্রিমিয়ার লিগ জিতে এএফসি কাপে খেলতে এসেছে বসুন্ধরা কিংস। প্রথম ম্যাচে তারা ২-০ গোলে মাজিয়াকে হারানোর পরে বেঙ্গালুরু এফসি-র সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত তারা যেমন অপরাজিত রয়েছে, তেমনই একটিও গোল খায়নি। এই আত্মবিশ্বাসটা এই ম্যাচে কাজে লাগবে দেশ থেকে জোড়া খেতাব জয় করে আসা ক্লাবটির। এটিকে মোহনবাগানের গোলমেশিন রয় কৃষ্ণাকে আটকাতে হিমশিম খেতে পারেন বসুন্ধরার ডিফেন্ডাররা। তাঁকে কড়া পাহাড়ায় রাখলে ডেভিড উইলিয়ামসকেও ছেড়ে রাখা যাবে না। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংরাও গোলের মধ্যে রয়েছেন। তাই শুধু ম্যান মার্কিং করে সবুজ মেরুন বাহিনীর বিরুদ্ধে পেরে ওঠা কঠিন হবে। এই ম্যাচে জিততেই হবে বসুন্ধরা কিংসকে। না হলে পদ্মাপাড়ের দলের লড়াই শেষ হয়ে যাবে।

রেষারেষি দুই প্রতিবেশীরও ইদানীং দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্ক বেশ অম্লমধুর হয়ে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে সম্প্রতি যতবার দুই দেশ মুখোমুখি হয়েছে, ততবারই যেমন সীমানার দুই পারের সমর্থকদের মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে, তেমনই দুই দেশের সেরা ক্লাবের লড়াইয়েও সমর্থকদের রেষারেষির পারদ উর্দ্ধমুখী। মঙ্গলবার বিকেলে দুই দল যখন মাঠে নামবে, তখন তাদের সমর্থকদের এই লড়াই কোন পর্যায়ে পৌঁছবে, সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ফুটবল মহল। শেষ হাসি কারা হাসবে, সেটা আরও বড় আকর্ষণ।

(লেখা আইএসএল-এর ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)