জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এএফসি কাপ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই পথেই হয়তো হাঁটতে চলেছে এএফসি। যাতে কিছুটা স্বস্তি এটিকে মোহনবাগান শিবিরে। শনিবারই জানা গিয়েছে দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার করোনায় আক্রান্ত। প্রবীর দাস ও শেখ সাহিলের করোনা, তাঁরা কোনওভাবেই মালদ্বীপ যেতে পারবেন না। গোলপকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যের মা করোনা আক্রান্ত তিনিও যেতে পারছেন না এই পরিস্থিতিতে দলের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, দল এখনও অনুশীলনই শুরু করতে পারেনি।
বিদেশি প্লেয়াররা দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারছেন না। তার মধ্যে অন্যতম দলের তারকা ফুটবলার রয় কৃষ্ণা। যোগ দিতে পারছেন না ডেভিড উইলিয়ামসও। যে কারণে দল গোছাতেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল কোচকে। আর ছন্নছাড়া দল নিয়ে এত বড় টুর্নামেন্ট খেললে সেটা ভাল হত না। তার মধ্যে ভারতের কোভিড পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগও বন্ধ। সেই অবস্থায় মালদ্বীপ উড়ে যাওয়াটা কঠিন হত দলের পক্ষে।
এদিকে এএফসি কাপ খেলতে কয়েকদিন আগেই মালদ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। এই মুহূর্তে যত খেলা হচ্ছে সবটাই বায়ো-বাবল ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই। তার মধ্যেই আইপিএল-এ হানা দিয়েছিল করোনা আর মাঝ পথেই তা বন্দ করে দিতে হয়েছে। সেই অবস্থাতেও বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলাররা করোনাবিধি ভেঙে বায়ো-বাবলের বাইরে বেরিয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে জল আরও ঘোলা হয়েছে এশিয়ার সেরা ক্লাব টুর্নামেন্টকে ঘিরে।
জানা যাচ্ছে শনিবার রাতে এএফসি কাপের যে বায়ো-বাবল ব্যবস্থা ছিল তা ভেঙে বেঙ্গালুরু এফসির কয়েকজন প্লেয়ারকে বাইরে ঘুরতে দেখা যায়। যা জানার পর রীতিমতো ক্ষিপ্ত সে দেশের সরকার। এখনই পুরো দলকে মালদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে টুর্নামেন্ট আয়োজনা না করার কথাও জানিয়েছে মালদ্বীপ। বেঙ্গালুরু এফসির কাছে জরিমানা চাওয়া হয়েছে।
মালদ্বীপের ক্রীড়ামন্ত্রী টুইট করে তাঁর বিরক্তির কথা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘বেঙ্গালুরু এফসির ফুটবলাররা নিয়ম মানছে না তাঁদের দ্রুত ভারতে ফেরঠ পাঠনো উচিৎ। ওদের আচরণ একদমই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’’ এর সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে এএফসি কাপ আয়োজনের অনুমতি তুলে নিচ্ছে সরকার। এবং বেঙ্গালুরু দলকে দ্রুত ভারতে ফেরৎ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে।
যদি সত্যিই এএফসি কাপ আপাতত স্থগিত রাখা হয় তাহলে ইতিমধ্যেই মালদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দেওয়া কোচ অ্যান্তোনিও লোপেজ হাবাস বা বিদেশি ফুটবলারদের কী ব্যবস্থা হবে সেটাই ভাবছে ক্লাব। মালদ্বীপ পৌঁছনোর পর তাঁদের ফেরানো হবে না মাঝ পথ থেকেই সেটা এখনও জানা নেই। সোমবার মালদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয়দের কিন্তু সেটাও হচ্ছে নাই ধরে নেওয়া যেতে পারে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)