জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রেকর্ডে কুক । জীবনের শেষ টেস্ট খেলে ফেললেন অ্যালেস্টার কুক। সঙ্গে লিখে ফেললেন নতুন রেকর্ড। ক্রিকেট জীবনের প্রথম টেস্টেও সেঞ্চুরি এসেছিল কুকের ব্যাট থেকে, জীবনের শেষ টেস্টেও এল। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচের আগেই কুক তাঁর অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন। লন্ডনে কেনিংটন ওভালে প্রথম ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি এলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল অ্যালেস্টার কুকের। নাগপুরে ২০০৬ সালে ভারতের বিরুদ্ধেই তাঁর অভিষেক হয়েছিল। করেছিলেন অপরাজিত ১০৪ রান। ইংল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিই প্রথম যাঁর ঝুলিতে জায়গা করে নিল এই বিশেষ রেকর্ড।একই দলের বিরুদ্ধে শুরু আর শেষ বিশ্ব ক্রিকেটে তিনি তৃতীয়।
কুকের এটা ৩৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান তাঁরই দখলে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে করতে পারেননি। ৭১ রানে আউট হয়ে ফিরতে হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে সেই ভুল আর করেননি। ২১০ বল সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ করেন ২৮৬ বলে ১৪৭ রান করে। ১৪টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেন জো রুটও। ১৯০ বলে ১২৫ রান করেন অধিনায়ক।
হনুমা বিহারীর প্রথম টেস্টেই হাফ সেঞ্চুরি
শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৬ রান করার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ছাপিয়ে যান কুমার সঙ্গকারাকে। বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানের তালিকায়ও তিনিই সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ করলেন সর্ব কালের সর্বোচ্চ টেস্ট রানের তালিকায় পঞ্চম স্থানে। তাঁর আগে রয়েছেন, সচিন তেন্ডুলকর, রিকি পন্টিং, জ্যাক কালিস ও রাহুল দ্রাবিড়।
প্রথম ও শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো ব্যাটসম্যানের তালিকায় কুক (রান ১০৪ ও ১৪৭, সাল ২০০৬ ও ২০৮)এর সঙ্গে রয়েছেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন (রান ১১০ ও ১০২, সাল ১৯৮৪ ও ২০০০), গ্রেগ চ্যাপেল (রান ১০৮ ও ১৮২, সাল ১৯৭০ ও ১৯৮৪), উইলিয়াম পনলফোর্ড (রান ১১০ ও ২৬৬, সাল ১৯২৪ ও ১৯৩৪) ও রেগিনাল্ড ডাফ (রান ১০৪ ও ১৪৬, সাল ১৯০২ ও ১৯০৫)। এই তালিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিন অস্ট্রেলিয়ান। তার পর এক ভারতীয় ও সদ্য যুক্ত হওয়া এক ব্রিটিশ।
শেষ টেস্টেও হারের মুখে ভারতীয় দল। খুব ভাল ফল হলে ম্যাচ ড্র হতে পারে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডে ৩৩২ রানের লক্ষ্যে নেমে ২৯২ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের চেপে ধরে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা। এসে জোড়া সেঞ্চুরি। আর কেউ তেমনভাবে না দাড়াতে পারলেও দুই সেঞ্চুরিতেই অনেকটা এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এখনও পর্যন্ত ভারতের হয়ে দুটো করে উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ শামি ও হনুমা বিহারী। অভিষেক ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির পর উইকেটেও নাম লেখালেন তিনি। একটি উইকেট রবীন্দ্র জাডেজার।