জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চেন্নাই সুপার কিংস দলে করোনার থাবা। তবে কে কে আক্রান্ত বা কতজন কোভিড-১৯ পজিটিভ তা খোলসা করেনি ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ। এমনিতে দুবাই পৌঁছে কোয়রান্টিনেই ছিল গোটা দল। টুর্নামেন্টের নিয়ম মেনেই এই ব্যবস্থা সঙ্গে নিয়ম করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষাতেই ধরা পড়ল চেন্নাই সুপার কিংস দলে করোনার আগমনের কথা।
আপাতত যা জানা যাচ্ছে একজন বোলার ও কয়েকজন স্টাফ মেম্বার করোনায় আক্রান্ত। সিএসকের সেই বোলার একজন পেসার এবং তিনি ভারতের হয়ে খেলেন বলে জানা গিয়েছে। এবং সিএসকে সাপোর্ট স্টাফের কম করে ১০ জন সদস্যও কোভিড-১৯ পজিটিভ। যার ফলে গোটা সিএসকে দল চতুর্থ কোভিড-১৯ পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে। এবং দলের কোয়রান্টিনের সময় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
চেন্নাই সুপার কিংস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দল গত ২১ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে পৌঁছেছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানেই এবারের আইপিএল শুরু হওয়ার কথা। যা আগে হওয়ার কথা ছিল মার্চে। কিন্তু কোভিড অতিমারির কারণে তা স্থগিত রাখা হয়েছিল। টি২০ বিশ্বকাপ স্থগিত করার কারণে সেই উইন্ডোতে আইপিএল করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।
দুবাই উড়ে যাওয়ার আগে চেন্নাই সুপার কিংস একমাত্র দল যারা দেশের মাটিতেও বেশ কয়েকদিন শিবির করেছিল। লকডাউনের আগেও তাদের শিবির সবার আগে শুরু হয়েছিল। যাতে ধোনি, রায়নাসহ অনেকেই যোগ দিয়েছিলেন। তবে তা দু’দিন পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আইপিএল-এর নিয়ম মেনে কোয়রান্টিন থাকার প্রথম, তৃতীয় ও ষষ্ঠ দিন পরীক্ষা হয়। তিনটি পরীক্ষাই যদি নেগেটিভ আসে তাহলে তারা অনুশীলনে নামতে পারে। তবে শুরুতেই বড় ধাক্কা খেল সিএসকে সঙ্গে আইপিএল-ও। এই আশঙ্কা তো ছিলই। তবে ইতিমধ্যে আরসিবি অনুশীলন শুরু করে দিয়েছে। আরসিবির পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্লেয়াররা রীতিমতো মুক্ত অবস্থাকে উপভোগ করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর তিনটি ভেন্যু দুবাই, আবু ধাবি ও শারজায় ৫৩ দিনে ৬০টি ম্যাচ খেলবে দলগুলি। ভারতের কোভিড পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ায় এবার দেশের মাটিতে এই টুর্নামেন্ট করা সম্ভব হল না। এখনও কোনও রকমের খেলা শুরু করা যায়নি। অতীতেও দেশের বাইরে আইপিএল হয়েছে। ২০১৪তেই সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল-এর একটি অংশ হয়েছিল।
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)