জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এমিলিয়ানো সালা ফিরবেন পরিবারের কাছে। কিন্তু কী ভাবে? একটা বিশ্বাস কাজ করছিল। কাছের মানুষদের হয়তো এমনটাই হয়। যদি বেঁচে থাকে কোথাও কোনও ভাবে। তাই চলুক তদন্ত। যে তদন্ত ইউকের স্থানীয় পুলিশ দু’দিন পরেই বন্ধ করে দিয়েছিল। সেটাই একদিন পরে নতুন করে শুরু করেছিল এমিলিয়ানো সালার পরিবার। দু’সপ্তাহ পর এল ফল। সমুদ্রের গভীরে দেখতে পাওয়া গিয়েছে এমিলিয়ানোর হারিয়ে যাওয়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ভিডিও ফুটেজে ধরা পড়েছে তাঁর ভিতর আটকে থাকা কোনও মানুষের দেহও।
রবিবার সার্চ অপারেশন শেষে এই খবর পাওয়া গিয়েছে প্রাইভেট তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। এখনও সমুদ্রের তলা থেকে কোনও দেহ বের করার যায়নি। তারও হয়তো ব্যবস্থা হবে। এমিলিয়ানো ফিরবেন নিজের পরিবারের কাছে। হয়তো কফিনবন্দী হয়ে। রবিবারের পর হয়তো ছেলেকে জীবিত ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে ফুটবলারের পরিবার। তবুও ছেলেকে শেষ দেখার আশায় বসে রয়েছে তাঁর পরিবার।
দু’সপ্তাহ আগের ঘটনা। ফ্রান্স থেকে বিশেষ বিমান ভাড়া করে এমিলিয়ানো সালা উড়ে গিয়েছিলেন কার্ডিফে। কার্ডিফ সিটি ফুটবল ক্লাবের সঙ্গে মোটা টাকার চুক্তিও সারা হয়ে গিয়েছিল। ক্লাবের পক্ষ থেকে এমিলিয়ানো সালাকে বিমানে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু সালা রাজি হননি। তিনি নিজের বিশেষ ভাড়া করা বিমানেই ক্লাবে পৌঁছে চুক্তি সেরে ফ্রান্সে ফেরার পথ ধরেছিলেন। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরই ইংলিশ চ্যানেলের উপর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে তাঁর বিমানের সংযোগ ছিন্ন হয়ে যায়।
বাংলার হকিতে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আর তাঁর শিকার একদল হকির স্বপ্ন দেখা ছেলে
বিমান সমুদ্রের উপর ভেঙে পড়ার আগে সালা তাঁর বন্ধুদের একটি টেক্সট মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘যে কোনও সময় আমার বিমান ভেঙে পড়বে বলে মনে হচ্ছে।’’ সেদিন খুব আবহাওয়া খারাপ ছিল। উত্তাল ছিল সমুদ্রও। পর দিন সকাল থেকে যে এলাকায় বিমানের সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন হয়েছিল সেখানে শুরু হয় সার্চ অপারেশন। সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং আলো কম হওয়ায় প্রথমদিন বেশি সময় সার্চ অপারেশন চালানো যায়নি। কিন্তু দুই-তিন দিন পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জীবিত অবস্থায় কাউকে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সার্চ অপারেশন বন্ধ করা হল।
কিন্তু মন মানেনি তাঁর পরিবারের। একটি প্রাইভেট সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে আবেদন জানাতে শুরু করে তাঁর পরিবার। গোটা বিশ্বের নাম করা ফুটবলার থেকে সাধারণ মানুষদের শুভেচ্ছা এবং অনুদানে ভড়ে ওঠে সালার পরিবারের ঝুলি। তা দিয়েই শুরু হয় নতুন করে তদন্ত। এই তালিকায় ছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসিও। তিনিও সার্চ অপারেশন চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন। জন্মগতভাবে এমিলিয়ানো সালা আর্জেন্তিনার মানুষ।
শেষটা এমনই হওয়ার ছিল। তবুও মনের কোণায় কোথাও একটা ছোট্ট আশা ছিল। যদি কোনও মিরাকেল হয়ে যায়। কিন্তু সেই সব আশা হয়তো শেষ হতে চলেছে। খুব দ্রুত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে বের করে আনা হবে সালা ও বিমানের চালকের মৃত দেহ। তার আগে পর্যন্ত এখনও কাউকেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়নি।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)