জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৩-এর প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাত টাইটান্স এবং রানার্স আপ চেন্নাই সুপার কিংস। আর প্রথম ম্যাচেই চেন্নাইকে ধরাশায়ী করে নিজেদের যাত্রা শুরু করল গুজরাত। জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টসের জন্য মাঠে আসেন জিটির অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যে এবং সিএসকের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এ দিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক।
চেন্নাই শিবির থেকে ওপেন করতে আসেন ডেভন কনওয়ে এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়। শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে ছিলেন রুতুরাজ। তবে শীঘ্রই উইকেট পতন হয় চেন্নাইয়ের। মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান কনওয়ে। এরপর মাঠে আসেন মঈন আলি। এই জুটির কাঁধে ভর করে সিএসকের রান গতি পায়। ছয় ওভারের মাথায় মঈন আউট হলে ব্যাট করতে আসেন ১৬ কোটির তারকা বেন স্টোকস। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী তিনি সেই ব্যাটিং দেখাতে পারলেননি। ৬ বলে মাত্র ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর আবার রানের গতি মন্থর হয়ে যায় চেন্নাইয়ের। অম্বাতি রাইডু, শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাডেজা একে একে সকলেই আউট হয়ে যান। তবে রুতুরাজ তখনও নিজের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। অবশেষে ১১ ওভারের মাথায় ১০০-র গন্ডি পেরোয় চেন্নাই। ৯টা ছয় এবং ৪টে চারে সাজানো ৫০ বলে ৯২ রানের দুরন্ত ইনিংসের পর আলজারি জোসেফের বলে শুভমন গিলের হাতে বল জমা দিয়ে মাঠ ছাড়েন রুতুরাজ। ততক্ষণে সিএসকের স্কোর ১৫১-৫। এরপর মাঠে আসেন অধিনায়ক ধোনি। শেষ দু’ওভারে তিনি যোগ করেন ১৪ রান। তার সঙ্গে ছিলেন মিচেল সাঁতনার। ২০ ওভারের শেষে গুজরাতের সামনে ১৭৮ রানের লক্ষ্য রাখে চেন্নাই।
চেন্নাইয়ের তৈরি করা লক্ষ্য তাড়া করতে, গুজরাত শিবির থেকে ওপেন করতে আসেন ঋদ্ধিমান সাহা এবং এই মুহুর্তে ভারতের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান শুভমন গিল। প্রথম ওভার থেকেই নিজের ফর্ম দেখাতে শুরু করেন শুভমন। সমান তালে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ঋদ্ধিমানও। চার ওভারের মাথায় এই জুটি ভেঙে দেন হাঙ্গারগেকর। তাঁর বলে শিবম দুবের হাতে বল জমা দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান ঋদ্ধিমান। ১৬ বলে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
এরপর মাঠে আসেন এদিনই অভিষেক হওয়া সাই সুন্দরম। প্রথম খেলায় তিনি যোগ করেন তিনটি বাউন্ডারিসহ ২২ রান। তিনি আউট হওয়ার পর মাঠে আসেন অধিনায়ক হার্দিক। হার্দিকের সহযোগিতায় শুভমনের কাঁধে ভর করে একটু একটু করে রানের গতি বাড়িয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছিল গুজরাত। কিন্তু সেই গতির তাল কাটে হার্দিক ও শুভমন আউট হবার পর। ৬৩ রানে শুভমন এবং ৮ রানে থামে হার্দিকের ব্যাটিং শেষ হয়। এরপরই গুজরাতকে চাপে ফেলে দেয় চেন্নাই। ১৫ ওভারের পর শুরু হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ম্যাচ কাদের দিকে ঝুঁকবে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।
গুজরাতের হয়ে ব্যাট করছিলেন বিজয় শঙ্কর এবং রাহুল তেওয়াটিয়া। গুজরাতের তখন দরকার বেশ কিছু বড় শট। অন্যদিকে চেন্নাইয়ের দরকার উইকেট। এই গুরুত্বপূর্ণ সময় ভুল বোঝাবুঝিতে বিজয়ের ক্যাচ ফস্কে যায় বাউন্ডারি লাইনের দুই ফিল্ডারের হাত থেকে। এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে নিজের ভেল্কি দেখাতে শুরু করেন বিজয়। পরপর দু’টি চার ও ছয় কষান তিনি। অপর প্রান্তে থাকা রাহুলও ততক্ষণে নিজের খেলা দেখাতে শুরু করেন।
১৮ ওভারে আবারও সমতায় ফিরে আসে গুজরাত। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ২৭ রান যোগ করে বিজয় আউট হয়ে ফিরে গেলে, মাঠে নামেন রশিদ খান। শেষ ওভারে একটি করে চার-ছয় মেরে চেন্নাইয়ের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেন রশিদ এবং অবশ্যই সমান তালে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন রাহুল। ১৪ বলে ১৫ রান করে রাহুল এবং ৩ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন রশিদ। ৫ উইকেটে ৪ বল বাকি থাকতেই চেন্নাইকে পরাস্ত করে ম্যাচ নিজেদের দখলে করে নেয় গুজরাত। দুটো উইকেট এবং শেষ সময়ে ৩ বলে ১০ রান করে ম্যাচের সেরা রশিদ খান।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google