আই লিগ: প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জয়, মোহনবাগানের ড্র

আই লিগ ডার্বি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আই লিগ ২০১৮-র প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের জয়, মোহনবাগানের ড্র। পাহাড় থেকে যখন ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে লাল-হলুদ তখন মোহনবাগানের ভাগ্যে জুটেছে শুধু ১ পয়েন্ট। শনিবার  কলকাতার দুই প্রধানই তাদের আই লিগ যাত্রা শুরু করেছে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে। ইস্টবেঙ্গলের খেলা ছিল ইম্ফলের পাহাড়ে নেরোকা এফসির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে মোহনবাগান নেমেছিল কেরলে গোকুলাম এফসির বিরুদ্ধে। ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে ম্যাচ জিতে নিলেও মোহনবাগানকে সেমসাইড গোলের জেরে ১-১ গোলেই ম্যাচ শেষ করতে হল।

শনিবার দুপুরে ইম্ফলে প্রথম ৬-৭ মিনিট সাময়িক নেরোকা এফসি লড়াই দিলেও তার পর থেকে ম্যাচের রাশ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ইস্টবেঙ্গল। দুই অর্ধে দুই গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে জয় এনে দেন লাল-হলুদ জার্সিতে অভিষেক হওয়া এনরিক এসকুয়েদা। আর এই বিদেশির হাত ধরেই ইস্টবেঙ্গল পাহাড় প্রতিবন্ধকতা কাটল বেলই মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার লোক চলে এসেছে।

ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে এ দিন নেরোকার হয়ে নেমেছিলেন দলের দুই প্রাক্তন কাটসুমি ইউসা ও এডুয়ার্দো। তবে দু’জনের কেউই প্রতিপক্ষকে খুব একটা বেগ দিতে পারেননি। কাটসুমি চোট পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাইরে চলে যান। এডু পুরো ম্যাচ খেললেও ইস্টবেঙ্গল ছিল নিজের ছন্দেই। ছিলেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গলী সুভাষ সিংও।

 ধোনিকে রাখা হল না অস্ট্রেলিয়া সফরের টি২০ দলেও

১০ মিনিটেই খেলার রাশ ইস্টবেঙ্গলের দখলে চলে আসে এসকুয়েদার গোলের সঙ্গে। লম্বা থ্রো উড়ে এসেছিল গোল লক্ষ্য করে। সেই বল সহজেই গোলে পাঠান এসকুয়েদা। গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে বল চলে যায় গোলে। শুরুতেই এগিয়ে আত্মবিশ্বাসও অনেকটাই বেড়ে যায় লাল-হলুদের।যার ফল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পেনাল্টি আদায় করে নেন চুলোভা। তার আগে প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি নেরোকা।

৪৬ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে যায় কলকাতার দল। পেনাল্টি থেকেও গোল করে যান সেই এনরিকই। গোলকিপারের কিছুই করার ছিল না। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ চলে এসেছিল নেরোকার সামনে। কিন্তু কর্নার থেকে উড়ে আসা বল অল্পের জন্য গোলে পাঠাতে ব্যর্থ হন এদুয়ার্দো। ম্যাচ শেষ হয় ২-০ গোলেই।

বিকেল ৫টায় কোঝিকোড়ে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান ও গোকুলাম এফসি। প্রথম থেকেই আক্রমনাত্মক ফুটবল দিয়েই শুরু হয়েছিল সবুজ মেরুনের ম্যাচ। কিন্তু গোল পেতে লেগে গেল ৪০ মিনিট। তার মাঝে বেশ কিছু নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত অরিজিৎ বাগুইয়ের মাপা ফ্রিকিক থেকে হেডে বল জালে জড়ান হেনরি কিসেকা। ১-০ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

এই ফল নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত মোহনবাগান। আসতে পারত তিন পয়েন্টও। গোকুলাম পুরো ম্যাচে খেলল শেষ ২০ মিনিট। তাতেই গোল হজম করে বসল শঙ্করলালের রক্ষণ। ৭২ মিনিটে রাজেশের গোলমুখি শট ফুটবলারদের মাথার উপর দিয়ে বাইরে পাঠান গোলকিপার শঙ্কর। কিন্তু সেই বল পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ তিনি। বক্সের মধ্য থেকে সেই ব ক্লিয়ার করতে গিয়েই নিজের গোলে ঢুকিয়ে দেন কিমা। গোল হজমের পর মাঝ মাঠে মেহতাবকে নামিয়ে হাল ধরার চেষ্টা করলেও আর কোনও দলই কোনও গোল করতে পারেনি। ১-১ গোলেই শেষ হয় মোহনবাগানের প্রথম ম্যাচ।