ডার্বি জট কাটলো না, মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই ঝামেলায় দুই ক্লাবের কর্তারা

ডার্বি জট কাটলো নাডার্বি জট কাটলো না

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ডার্বি জট কাটলো না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায়ও। করোনাভাইরাসের জন্য সব স্পোর্টস ইভেন্ট পর পর বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ওডিআই সিরিজও। স্থগিত রাখা হয়েছে আইপিএল। শুধু তাই নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সব সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। সেই পথেই হাঁটতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাময়িকভাবে ডার্বি বাতিলের কথাই বলেছিলেন তিনি। কিন্তু একপক্ষ মেনে নিলেও অন্য পক্ষ মানল না।

রবিবার ১৫ মার্চ যুবভারতীতে হওয়ার কথা আই লিগের ডার্বি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়, কোথাও বেশি মানুষের জমায়েত চলবে না। যার ফলে পর পর বাতিল হতে থাকে স্পোর্টস ইভেন্ট। প্রভাব পড়ে আই লিগের উপরও। আই লিগের এখনও বেশ কিছু ম্যাচ বাকি। তার মধ্যে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচ। যা ঘিরে উত্তেজনার পারদ থাকে তুঙ্গে।


(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

কিন্তু সেই ম্যাচ করতে হলে ফাঁকা গ্যালারিতেই করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। ইতিমধ্যেই আই লিগ জিতে যাওয়া মোহনবাগান ফাঁকা গ্যালারিতেই সেই ম্যাচ খেলতে মরিয়া। আগের খবর অনুযায়ী ডার্বির মাঠেই মোহনবাগানের হাতে আই লিগ ট্রফি তুলে দেওয়া কথা ছিল। তবে ইস্টবেঙ্গল যারা এই ম্যাচের আয়োজক দল তারা ফাঁকা গ্যালারিতে খেলতে নারাজ, সমর্থকদের আবেগের কথা ভেবে।

এই নিয়েই দুই পক্ষ দুই মেরুতে দাঁড়িয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায়ও কাজ হয়নি। যদিও তিনি চান পিছিয়ে দেওয়া হোক ম্যাচ। দিল্লিতে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে সব স্পোর্টস ইভেন্ট। সেই মতো পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে আই লিগের বাকি ম্যাচও।

বল এখন ফেডারেশনের ঘরে। তারা কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার। মুখ্যমন্ত্রী এবং ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান সব পক্ষের মত নিয়েই আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাবে এআইএফএফ। কিন্তু ধর্ম সঙ্কটে পড়বে ভারতীয় ফুটবলের নিয়মক সংস্থা। যাই সিদ্ধান্ত তারা নিক না কেন তাদের দিকে পক্ষপাতিত্বের আঙুল তো উঠবেই এক পক্ষের তরফে। সেটা হজম করেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও তাদের এখনও সরকারিভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়নি। সবুজ-মেরুন চায় তাদের চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিক ফেডারেশন। যা খবর তাতে এমনও নাকি বলা হয়েছে, চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে দিলে বাকি চারটি ম্যাচ ওয়াকওভার দিয়েও দিতে পারে এ বারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের সামনে শেষ বেলায় মর্যাদার লড়াই। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া এই দল একমাত্র ঘুরে দাঁড়াতে পারে ডার্বি জিতেই। আর সেটাকেই সমর্থকদের সামনে কাজে লাগাতে চাইছে লাল-হলুদ কর্তারা।

আসলে ইগোর লড়াইয়ে দুই পক্ষই ভুলে গিয়েছে করোনাভাইরাস ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সেখানে সঠিক পথ বেছে নেওয়া সবার আগে প্রয়োজন সব ইগোকে পিছনে রেখে।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন