আন্তর্জাতিক হকি পুরস্কারের মঞ্চে ভারতের জয় জয়কার, সব বিভাগেই বাজিমাত

আন্তর্জাতিক হকি পুরস্কারের মঞ্চে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আন্তর্জাতিক হকি পুরস্কারের মঞ্চে বাজিমাত করল ভারত। সদ্য শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয় সম্ভব হয়নি। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের বার্ষিক পুরস্কার অনুষ্ঠানে ছেয়ে থাকল ভারত। কোচ থেকে প্লেয়ার—সকলেরই হাতেই উঠল সেরার পুরস্কার। ভোটের নিরিখেই এই পুরস্কার দিয়ে থাকে এফআইএইচ। সেখানে জায়গা করে নিলেন ৫ জন ভারতীয় হকি প্লেয়ার এবং ভারতীয় পুরুষ ও মহিলা দলের হেড কোচেরা। বিভিন্ন বিভাগে পুরস্কৃত হলেন ভারতীয়রা।

৪১ বছর পর অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জিতে মন জয় করে নিয়েছিলেন ভারতের পুরুষ হকি প্লেয়াররা। মেয়েরা চতুর্থ স্থানে শেষ করলেও গোটা দেশ তাঁদের হয়ে গলা ফাঁটিয়েছে শেষ পর্যন্ত। দেশে ফিরে চ্যাম্পিয়নের সম্মান পেয়েছেন তাঁরাও। আর সেটা যে সত্যি তা প্রমান হল এই পুরস্কারে। অন্যদিকে, অলিম্পিকে সোনাজয়ী বেলজিয়াম দল পুরস্কারের মঞ্চে হতাশই করেছে। তালিকায় নাম থাকলেও একটিও পুরস্কার জোটেনি তাদের। ভোটিং পদ্ধতিতে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বেলজিয়াম।

হরমনপ্রীত সিং পেলেন বছরের সেরা প্লেয়ারের পুরস্কার। মহিলা বিভাগের সেরার পুরস্কার পেলেন গুরজিৎ কৌর। দু’জনেই সেরা ড্র্যাগফ্লিকার হিসেবে সর্বোচ্চ গোলে করেছেন যাঁর যাঁর দলের হয়ে অলিম্পিকে। সেরা গোলকিপারের পুরস্কারও থাকল ভারতের দখলেই। তাও পুরুষ, মহিলা দুই বিভাগেই। ভারতের বর্ষীয়ান গোলকিপার পিআর শ্রীজেশ এবং মহিলা গোলকিপার সবিতা পুনিয়া ছিনিয়ে নিলেন সেরা গোলকিপারের খেতাব। এই দুই গোলকিপারের হাতে অলিম্পিকের মঞ্চে আটকে গিয়েছে তাবড় তাবড় হকি ফরোয়ার্ডরা। যা ভারতকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।

সেরা উদীয়মান তারকার পুরস্কারও এল ভারতের পুরুষ ও মহিলা প্লেয়ারের ঘরেই। পুরুষদের সেই পুরস্কার জিতে নিলেন বিবেক সাগর প্রসাদ এবং মহিলাদের হয়ে পুরস্কৃত হলেন শর্মিলা দেবী। সেরা কোচের তকমাও থাকল ভারতেরই দখলে। ভারতের মহিলা দলের কোচ সেজর মারিজিনের সঙ্গে হকি ইন্ডিয়ার চুক্তি শেষ হয়েছে অলিম্পিকের পরেই। কিন্তু যেতে যেতে ভারতীয় মহিলা হকিকে সেরা উচ্চতায় পৌঁছে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। সেরা মহিলা দলের কোচের পুরস্কার প্রাপ্য তাঁরই। অন্যদিকে ভারতীয় পুরুষ দলের কোচ গ্রাহাম রিডও সেরা কোচ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন।

এই পুরস্কার নির্ধারিত হয় সব দেশের হকি অ্যাসোসিয়েশনের ভোট, সব দেশের অধিনায়ক, কোচ। ৫০ শতাংশ ভোট থাকে তাদের তরফে। বাকি ২৫ শতাংশ ফ্যান ও প্লেয়ার এবং ২৫ শতাংশ সংবাদ মাধ্যমের ভোট থাকে। ৭৯টি জাতীয় অ্যাসোসিয়েশন ভোট দিয়েছে। আফ্রিকার ১১, এশিয়ার ২৯, ইউরোপের ১৯, ওশেনিয়া ৩, প্যান আমেরিকা ১৭ ভোট দিয়েছে। ৩ লাখ ফ্যান ভোট দিয়েছে— যা রেকর্ড। ২৩ অগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে ভোটপর্ব।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)