সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পরীক্ষার সামনে পড়তে পারে ভারতের মিডল-অর্ডার

সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরীক্ষা ভারতের মিডল অর্ডারের। হংকংয়ের বিরুদ্ধে কিছুটা নড়বড়ে শুরুর পর থেকেই দারুণ ছন্দে ভারতীয় দল। একদিকে বোলাররা দুরুন্ত ফর্মে। অন্যদিকে ভারতের টপ অর্ডার। যে কারণে এখনও পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি ভারতের মিডল অর্ডারকে। তাই এশিয়া কাপের মেগা ফাইনালে আগে আফগানিস্তান ম্যাচই হতে পারে ভারতীয় মিডল অর্ডারকে দেখে নেওয়ার মূল মঞ্চ।

মঙ্গলবার সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত-আফগানিস্তান। পাকিস্তানের কাছে হারতে হলেও ভালপ ফর্মে রয়েছে আফগানিস্তান। বিশেষ তাদের স্পিন অ্যাটাক যথেষ্ট ভাল। তবে এশিয়া কাপে পর পর জয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে ভারতীয় দল। হংকংয়ের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু। এর পর দু’বার পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। বাংলাদেশও দাড়াতে পারেনি এই ভারতের সামনে। সেই ভারতের বিরুদ্ধে নামতে চলেছে আফগানিস্তান।

শুক্রবার ফাইনাল। ভারত ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে। মঙ্গলবার ভারত-আফগানিস্তান ছাড়াও সুপার ফোরের ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ।এখান থেকেই উঠে আসবে ভারতের প্রতিপক্ষ। তা জানা যাবে ম্যাচ শেষেই। কিন্তু ফাইনালের আগে বাকিদের দেখে নিতে চাইবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এই এশিয়া কাপকেই ২০১৯ বিশ্বকাপের ট্রায়াল রান হিসেবে ধরছে ভারত। তাই বাকিদেরও প্রমাণ করার একটা তাগিদ থাকবে। তাঁদের সুযোগ দেওয়ার এটাই সব থেকে ভাল বিকল্প।

সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে

রশিদ খানের মতো বোলারের বিরুদ্ধে খেলিয়ে ব্যাটসম্যানদের দেখে নিতে চাইবে ভারত।ইতিমধ্যেই দুই ওপেনার শিখর ধবন (৩২৭) ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা (২৬৯) টুর্নামেন্টে টপ স্কোরারের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। চার ম্যাচে এই দু’জনেরই ব্যাট কথা বলায় বাকিদের তেমনভাবে আর লড়াইয়ের মুখে পড়তে হয়নি। এর পরই তিন নম্বরে ১১৬ রান করে রয়েছেন অম্বাতি রায়ডু। কিন্তু মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কেদার যাদব, দীনেশ কার্তিকরা ব্যাট করার সুযোগই পাননি। কারণ সব ম্যাচই প্রায় লো-স্কোরিং ছিল। যা দুই ওপেনার ও তিন নম্বর ব্যাটসম্যানই করে দিয়েছেন।

এশিয়া কাপে এই নিয়ে এক সপ্তাহে দু’বার দেখা হল বিশ্ব ক্রিকেটের দুই চির শত্রুর

এখনও পর্যন্ত হিসেব বলছে, রোহিত শর্মা খেলেছে ২৮৪টি বল। শিখর ধবন খেলেছেন ৩২১টি বল। অম্বাতি রায়ডু খেলেছেন ১৬২টি বল। এই তিন জনের পর যাঁরা রয়েছে তাঁরা যে খুব কম সময়ই ক্রিজে পেয়েছেন সেটা স্পষ্ট। সেই তালিকায় রয়েছেন দীনেশ কার্তিক, খেলেছেন মাত্র ৭৮ বল। ধোনি, খেলেছেন ৪০ বল, কেদার যাদব, খেলেছেন ২৭ বল। যদি ফাইনালে গিয়ে কোনওভাবে টপ অর্ডার এই ফর্ম দেখাতে না পারে তা হলে অপরীক্ষিত টপ অর্ডারকে হঠাৎ করেই বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধোনিকে চার নম্বরে তুলে নিয়ে এসেছিলেন রোহিত। সেখানে ৩৩ রানের ইনিংস করেছিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। যদিও কোনও চাপ ছিল না। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতলে অবশ্যই প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে চাইবে ভারত। তা হলেই ভারতীয় মিডল অর্ডারের একটা পরীক্ষার মুখে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরাকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে। সেখানে দীপক চাহার, সিদ্ধার্থ কল ও খলিল আহমেদের মধ্যে কোনও দু’জন প্রথম ১১তে জায়গা করে নিতে পারেন।