জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এমএস ধোনি রেগে যান তা হলে। এমনটাই দেখা গেল আইপিএল ২০১৯-এর আসরে। যেখানে এমএস ধোনির ক্যাপ্টেন কুল তকমা ধুয়ে-মুছে সাফ হয়ে গেল একটা ঘটনাতেই। তিনি যা করলেন অনেক মাথা গরম অধিনায়কও সেটা করতে ১০ বার ভাববেন। আর সেটাই কিনা করে ফেললেন ধোনি।
বৃহস্পতিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়পুরে খেলা ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। সাত নম্বরে থাকা রাজস্থানের সঙ্গে জিততে শীর্ষে থাকা চেন্নাইয়ের লড়াই করতে হল শেষ পর্যন্ত। এই ম্যাচ জিততেও পারত রাজস্থান। কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় ছিল না। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গেল শেষ ওভারে ধোনির কর্মকাণ্ড। যার পর প্রশ্ন উঠে গেল, কোথায় গেলেন ক্যাপ্টেন কুল?
শেষ ওভারে বল করছিলেন রাজস্থানের বেন স্টোকস। একটা বল অনেকটা উঁচু হয়ে আসে। নো-বল দেননি আম্পায়ার। সেই সময় এক একটা বল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ছয় ওভারে ১৫ রান থেকে সেই ম্যাচ এসে দাঁড়িয়েছিল শেষ বলে চার রানের। কিন্তু শেষ বল ওয়াইড করে বসেন স্টোকস। এক বলে তিন রান ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নেন চেন্নাই ব্যাটসম্যান।
কলকাতা নাইট রাইডার্স ওয়ান ম্যান আর্মি, চেন্নাইয়ের কাছে ৭ উইকেটে হার
কিন্তু তার আগেই শেষ ওভারের আরও একটি বল নো-বলের দাবি ওঠে যা আম্পায়ার দেননি। তখন ডাগ আউটে বসে ছিলেন ধোনি। একটু আগেই আউট হয়ে যান তিনি। কিন্তু তিনি ক্রিকেটের সব নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন ধোনি। সোজা চলে যান আম্পায়ারের কাছে। এবং তাঁর সঙ্গে নো-বল নিয়ে তর্ক জুড়ে দেন। শেষ পর্যন্ত যদিও সেই নো-বল দেননি আম্পায়ার।
ক্রিকেটের নিয়ম বহির্ভূত কাজ করে বড় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ধোনিকে। তাঁর ম্যাচ ফি-র ৫০ শতাংশ জরিমানা দিতে হয়েছে তাঁকে। তিনি নিজেও দোষ মেনে নিয়েছেন।
এর পরই সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট বিশ্বে। প্রশ্ন উঠছে ধোনির মতো একজন অভিজ্ঞ বিশ্বখ্যাত ক্রিকেটার এই কাজ কী করে করলেন? পরবর্তী প্রজন্মের সামনে কী নজির রাখলেন তিনি। সঙ্গে তাঁরই বা সম্মান কোথায় গেল?
রাজস্থানের হয়ে সেই সময় বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করছিলেন জোস বাটলার। ম্যাচের ফর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমি অনেকটা দূরে ছিলাম তাই সঠিক কী হয়েছিল বলতে পারব না। তবে যা হয়েছে আমার মনে হয় ঠিক হয়নি।’’
(খেলার আরও খবরের জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন)