জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ২০২১-এ বঙ্গ ব্রিগেড ১-এ এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এটিকে মোহনবাগানের বাঙালি ফুটবলারদের। কে বলে বাংলার ছেলেরা ক্রমশ এ দেশের ফুটবলে বিরল হয়ে উঠছে? ফুটবলের মক্কা ও দেশের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী দুই ফুটবল ক্লাবের রাজ্য বাংলা। সে জন্যই তো এই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় গান ‘সব খেলার সেরা বাঙালির তুমি ফুটবল’। এই বাংলায় ফুটবলপ্রেমীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চললেও অভিযোগ শোনা যায় ভারতীয় ফুটবলে বাঙালি ফুটবলারের সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আসন্ন হিরো আইএসএলের দলগুলির টিম লিস্টের দিকে তাকালে সেই অভিযোগ কি আর ধোপে টিকবে?
বাংলার দুই ক্লাব তো বটেই, এ ছাড়াও হিরো আইএসএলের আরও একাধিক ক্লাবের স্কোয়াডে এ বার রয়েছেন বাংলার ফুটবলাররা। কোন ক্লাবে বাংলার কোন ফুটবলার রয়েছেন? জেনে নেওয়া যাক তাঁদের সম্পর্কে। আজ প্রথম পর্বে এটিকে মোহনবাগান।
অভিলাষ পাল (গোলকিপার, ১২): ২৬ বছর বয়সি এই তরুণ গোলকিপার গতবার এটিকে মোহনবাগান স্কোয়াডে থাকলেও কোনও ম্যাচে নামার সুযোগ পাননি। ইস্টবেঙ্গল, আইজল এফসি-র হয়ে হিরো আই লিগে খেলেছেন।
প্রীতম কোটাল (ডিফেন্ডার, ২০): দলের অন্যতম সিনিয়র তারকা ও অধিনায়ক প্রীতমের এটি অষ্টম হিরো আইএসএল মরশুম। দলের রক্ষণে বড় ভরসা এই ডিফেন্ডার। এফসি পুণে সিটি, এটিকে এফসি-র পরে দিল্লি ডায়নামোজ এফসি-তে যান এবং ফিরে আসেন কলকাতার দলে। হিরো আইএসএলে একশো ম্যাচের গণ্ডী ছুঁতে আর তিনটি ম্যাচ বাকি তাঁর।
প্রবীর দাস (ডিফেন্ডার, ৩৩): হিরো আইএসএলে এই নিয়ে সপ্তম মরশুম প্রবীরের। ২০১৯-২০ মরশুমে এটিকে এফসি-তে রাইট উইং ব্যাক হিসেবে চমকে দেন। কিন্তু গতবার ধারাবাহিক ভাবে ভাল পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ পাননি। ২০টি ম্যাচ খেললেও প্রতি ম্যাচে গড়ে ৫৬ মিনিট করে ছিলেন মাঠে। এফসি গোয়া, দিল্লি ডায়নামোজের পরে ২০১৬-য় তিনি চ্যাম্পিয়ন এটিকে দলে ছিলেন। ২০১৮-১৯ মরশুমে চোটের জন্য খেলতে পারেননি।
শুভাশিস বোস (ডিফেন্ডার, ১৫): হিরো আইএসএলে এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর কলকাতার দলে শুভাশিস। ২০১৭-১৮-এ লিগে রানার্স আপ বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে প্রথম খেলেন তিনি। ২০১৯-২০ মরশুমে যান মুম্বই সিটি এফসি-তে। গত বার যোগ দেন সবুজ-মেরুন শিবিরে, ২০১৭-য় কয়েক মাস কাটিয়েছিলেন যে ক্লাবে। আইএসএলে ৭২টি ম্যাচ খেলেছেন।
শেখ সাহিল (মিডফিল্ডার, ২৭): মোহনবাগান অ্যাকাডেমির ফসল ২০১৯-২০ মরশুমে ক্লাবের দ্বিতীয় আই লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন। এটিকে মোহনবাগানের হয়ে গত মরশুমেই অভিষেক হয়েছে তাঁর। তবে সাতটি ম্যাচে ২৮৫ মিনিটের বেশি খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এ বার আরও বেশি সুযোগ পান কি না, সেটাই দেখার।
(তথ্য ও লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)