জাতীয় দলের জন্য ফুটবলার ছাড়া প্রসঙ্গে আইএসএল ক্লাবগুলির সঙ্গে এআইএফএফ-কে আলোচনায় বসার আর্জি Khalid Jamil-এর

Khalid Jamil

ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের প্রধান কোচ Khalid Jamil অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF) এবং ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (ISL) ক্লাবগুলিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে “ক্লাব এবং জাতীয় প্রতিশ্রুতির ভারসাম্য বজায় থাকে” এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা যায়। তিনটি আইএসএল ক্লাবের ১৪ জন খেলোয়াড় এখনও জাতীয় শিবিরে যোগদান না করায়, অক্টোবরে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ভারতের আসন্ন এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের প্রস্তুতিতে প্রভাব পড়ছে।

খালিদ জামিল প্রাথমিকভাবে প্রস্তুতি শিবিরের জন্য ৩০ জন সম্ভাব্য খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু মূল খেলোয়াড়দের দেড়িতে মুক্তির ফলে দলের প্রস্তুতিতে ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। বেঙ্গালুরু এফসির অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী-সহ প্রধান অনেকের অনুপস্থিতি জাতীয় দলের জন্য একটি বড় সমস্যা, কারণ ক্লাবগুলি আন্তর্জাতিক দায়িত্বের চেয়ে ঘরোয়া ম্যাচগুলিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।


২০ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ শিবিরে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ, আশির আখতার এবং ফারুখ চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর বর্তমানে ১৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন। জামিল খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতির প্রভাব স্বীকার করে বলেন, বিশেষ করে রক্ষণের প্লেয়ার ঘাটতি রয়েছে। তিন বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি সবসময় দলমুখী, ব্যক্তিদের উপর নির্ভরশীল নয়। তবুও, কিছু পজিশনে খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই প্রশিক্ষণের উপর প্রভাব ফেলেছে।”

“কিছু খেলোয়াড় পর্যায়ক্রমে যোগ দেবে এবং আমরা যারা রয়েছে তাদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করার জন্য কাজ করছি। দীর্ঘমেয়াদে, আমি বিশ্বাস করি যে ক্লাব এবং জাতীয় প্রতিশ্রুতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একসাথে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ,” তিনি আরও বলেন। জামিলের মতে,  এই চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্লাব এবং জাতীয় দলের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা অপরিহার্য।

বেঙ্গালুরু এফসি, ইস্টবেঙ্গল এবং পঞ্জাব এফসি তাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে দেড়ি করেছে, যাদের মধ্যে ১৪ জন এই মাসের শেষের দিকে যোগদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সমস্যাটি নতুন নয় এবং গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট এবং বাছাইপর্বের সময় জাতীয় দলের জন্য খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা নিয়ে চলতি দ্বন্দ্বেরই প্রতিফল‌ন। এছাড়া এটা আরও প্রমান করে যে ফেডারেশনের ক্লাবগুলোর উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।

জামিল উল্লেখ করেছেন যে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবং এফসি গোয়ার খেলোয়াড়দের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু-এর খেলা চলার কারণে ক্যাম্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তিনি ব্যাখ্যা করেন, “মোহনবাগান এবং এফসি গোয়ার সাথে, শুরু থেকেই পরিস্থিতি স্পষ্ট ছিল কারণ তাদের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল। আমরা এটিকে সম্পূর্ণরূপে সম্মান করি এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করি।”

তিনি আরও বলেন, “এগিয়ে যাওয়ার জন্য, আমরা সমস্ত ক্লাবের সাথে একই রকম স্পষ্টতা বজায় রাখার চেষ্টা করি। সর্বোপরি, এটি একটি দলগত খেলা, এবং যদি আমাদের এইরকম স্পষ্টতা থাকে, তাহলে আমরা জানতে পারব কোন খেলোয়াড়দের নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।” জামিল, যিনি সম্প্রতি তাজিকিস্তানে কাফা নেশনস কাপে দলকে তৃতীয় স্থানে শেষ করে সাহায্য করেছেন, তিনি জোর দিয়েছিলেন যে আরও ভাল পরিকল্পনার জন্য স্বচ্ছ যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সামনের দিকে তাকিয়ে, তিনি সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে আসন্ন দু’টি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন, “আমরা এই দু’টি ম্যাচের তাৎপর্য সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবগত। ইতিবাচক ফলাফল আমাদের যোগ্যতা অর্জনের অভিযানে শক্তিশালী গতি দিতে পারে, অন্যদিকে বিপর্যয় পথকে আরও কঠিন করে তুলবে।” ভারত বর্তমানে গ্রুপ সি-তে এক পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে এবং গ্রুপ লিডার সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে কঠোর প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে, যাদের এখন পর্যন্ত চার পয়েন্ট রয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবর

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle