জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ক্রীড়াবিদদের কাছে যেমন চোঠ-আঘাত খুব বড় বিষয় নয় তেমনই যে একটা চোট কী ভাবে কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারে তা জানেন তাঁরা। যেমন মাত্র ৩১টি টেস্ট খেলে বিদায় নিতে হয়েছিল Nari Contractor-কে। কারণ সেই চোট। মথার মধ্যে প্লেট নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন ৬০ বছর। এখন তাঁর বয়স ৮৮। সম্প্রতি অস্ত্রোপচার করে খোলা হয়েছে তাঁর মাথায় বসানো সেই প্লেট। তাঁর পুত্র হশদার কনট্রাক্টর জানিয়েছেন, এই অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
ঘটনা ১৯৬২ সালের। ভারতীয় ক্রিকেট দল গিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। খেলা চলছিল বার্বাডোজে। সেই সময় ক্যারিবিয়ান বোলাররা ছিল ব্যাটসম্যানদের ত্রাস। তাঁদের বলের গতিকে রীতিমতো ভয় পেতেন গোটা বিশ্বের ব্যাটসম্যানরা। তেমনই এক বাউন্সার এসে লেগেছিল নারি কনট্রাক্টরের মাথায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলার চার্লি গ্রিফিথের একটি বাউন্সার সপাটে এসে লাগে ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের মাথায়। চোট ছিল গুরুতর। তবে সেটা জানা যায় চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর।
সেই সময় তাঁর মাথায় বেশ কয়েকবার অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই বছরই তাঁর মাথায় বসানো হয় টাইটেনিয়াম প্লেট। তা নিয়েই এতদিন কেটে গিয়েছে জীবন। তবে ক্রিকেটট চলে গিয়েছিল সেই সময়ই। সম্প্রতি দেখা যায় মাথায় যে অংশে টাইটেনিয়াম প্লেট বসানো রয়েছে সেখানকার চামরা উঠে যাচ্ছে। তখনই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার পর সেই প্লেট সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বয়সে ব্রেনে অস্ত্রোপচার নিয়ে চিন্তায় ছিল তাঁর পরিবার। তবে তিনি সুস্থ আছেন।
সেই সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক ওরেল। তিনিসহ তাঁর দলের অনেক সদস্য ও ভারতীয় দলে কনট্রাক্টরের সতীর্থরা তাঁকে রক্ত দিয়েছিলেন। প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়েছিল তাঁর। যখন তাঁর চোট লেগেছিল তখন তিনি হেলমেট পরেছিলেন না। থাকলে চোট এত গুরুতর হত না নিশ্চিত। পরবর্তী সময়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘সেই সময় সেখানে কোনও সাইডস্ক্রিন ছিল না। আর আমার ১০০ শতাংশ মনযোগ বলের দিকেও ছিল না। আমি তখন বলটি দেখি যখন ও আমার মাথা থেকে কয়েক ইঞ্চি দূরে। বল লাগার পর মনে হয়েছিল কেউ প্যাভেলিয়নের জানলা খুলে দিয়েছিল।’’
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)