প্রয়াত নিখিল নন্দী, পিকে, চুনীর পর ২০২০ কেড়ে নিল আরও একজনকে

প্রয়াত নিখিল নন্দী

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: প্রয়াত নিখিল নন্দী ধরলেন পিকে-চুনীর পথ। ২০২০-র শুরুতেই পর পর বাংলার ফুটবলকে অনেকটাই অভিভাবক শূন্য করে দিয়ে গিয়েছইলেন প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও চুনী গোস্বামী। এবার চলে গেলেন প্রাক্তন তারকা ফুটবলার নিখিল নন্দী। প্রাক্তন এই অলিম্পিয়ানের মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বেশ কয়েকবছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। যদিও এই বছরের মারণ ভাইরাস তাঁকে ছাড়েনি। তার প্রভাবেই আর উঠে দাঁড়াতে পারলেন না।

সেপ্টেম্বরে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যাতে দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন একদম। তার উপর বয়স ছিল বড় একটা সমস্যা। সম্প্রতি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। চিকিৎসায়ও আর কাজ হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সেই সময় তিনি তাঁর বাড়িতেই ছিলেন।

১৯৫৬ অলিম্পিক দলের সদস্য ছিলেন তিনি। যদিও ভারত সেই ম্যাচ ১-৪ গোলে হেরে গিয়েছিল কিন্তু নজর কেড়েছিলেন নিখিল নন্দী। লড়াকু বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। মাঠের মধ্যে তাঁর লড়াইয়ের কথা আজও শোনা যায় তৎকালীন ফুটবলের মানুষদের মুখে। তাঁর লড়াই শেষ হল।

শেষ ভারতীয় ফুটবলের একটা যুগের। শুধু দেশের হয়ে? ক্লাবের হয়েও বুক চিতিয়ে লড়েছেন। সেই সময়ের ইস্টার্নরেল দল ছিল সব বড় দলের যম। আর সেই দলের এক সময় অধিনায়কও ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানকে হারানোর কৃতিত্ব রয়েছে ইস্টার্ন রেলের।

তাঁর নেতৃত্হে খেলেছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ফুটবলের পরিবার ছিল তাঁর। চার ভাই-ই দেশের জার্সিতে খেলেছেন এক সময়। তাঁর দুই ভাই অনিল নন্দী ও সুনীল নন্দীও অলিম্পিক খেলেন। সেটা ১৯৪৮। ের পর অলিম্পিক খেলেন নিখিল নন্দী। এক বাড়িতে তিন জন অলিম্পিয়ান ফুটবলার বিরল বিষয়। তাই ফুটবলকে ছাড়তে পারেননি। যতদিন শরীর সঙ্গ দিয়েছে ছোটদের কোচিং করিয়েছেন।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)