জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: প্রফুল প্যাটেল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি শনিবার প্রথম ভারতীয় হিসেবে ফিফা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন। ৪৬ এর মধ্যে ৩৮টি ভোট পেলেন তিনি। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে ২৯তম এএফসি কংগ্রেসে আট জন ছিলেন এই পদের জন্য।
ভারতীয় ফুটবলকে এই সম্মান এনে দিয়ে প্রফুল প্যাটেল বলেন, ‘‘আমি সম্মানিত। এএফসিই সেই সব সদস্যদের ধন্যবাদ যারা আমাদে এই পদের জন্য যোগ্য মনে করেছে। আমি শুধু আমার দেশে নয় পুরো এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করব। এশিয়ার ফুটবলের উন্নতিতে আমার উপর ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ।’’
এএফসি কংগ্রেসে প্রফুল প্যাটেলের সঙ্গে ছিলেন এআইএফএফ-এর সহ-সভাপতি সুব্রত দত্ত ও সচিব কুশল দাস। সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘ভারতীয় ফুটবলের জন্য এটা একটা ল্যান্ডমার্ক। এটা তাঁর প্রাপ্য ছিল। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় ফুটবল একটা উচ্চতায় পৌঁছেছে। ফিফায় তাঁর উপস্থিতিতে এশিয়ার ফুটবলও উপকৃত হবে।’’
ভারতীয় ফুটবলের এই গর্বের দিনের ঠিক একদিন আগেই হারিয়ে যাওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে আরও একটি ক্লাব। ২০১৭-১৮ মরসুমেই আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চমকে দিয়েছিল মিনার্ভা এফসি। মনে করা হচ্ছিল টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমির পর ভারতীয় ফুটবলের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে মিনার্ভার অ্যাকাডেমি। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলা ভারতীয় দলে ছিলেন প্রায় সাতজন এই অ্যাকাডেমির ফুটবলার। ভারতের বিভিন্ন ক্লাবে প্রায় ৬০-এর উপর ফুটবলার খেলছে এই অ্যাকাডেমির। এই সাফল্যের মধ্যেও দল তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ক্লাবের মালিক রঞ্জিত বজাজ একগুচ্ছ টুইট করে তাঁর বক্তব্যের কথা জানিয়েছেন। সেখানে অভিযোগের তীর ফেডারেশনের দিকেই। গতবারের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় এবার এএফসি কাপ খেলবে মিনার্ভা। যে কারণে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামকেই হোম গ্রাউন্ডড হিসেবে বেএছে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলেছিল ক্লাব। কিন্তু হঠাৎই সেই সেই চুক্তি বাতিল করে দেয় কলিঙ্গ স্টেডিয়াম কৃর্তপক্ষ তথা স্থানীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। জানিয়ে দেওয়া হয় স্টেডিয়াম মেরামতির কাজ হবে।
মিনার্ভার মালিক রঞ্জিত বজাজের অভিযোগ, এই পুরো বিষয়টির পিছনেই হাত রয়েছে সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের। তারাই এই কাজ করিয়েছে। যে কারনে তিনি সব বয়স ভিত্তিক দলসহ ক্লাবই বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এআইএফএফ-র সঙ্গে তাদের মার্কেটিং পার্টনারের দিকেও আঙুল তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, ভারতীয় ফুটবলকে খুন করছে এরা।
ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এ বারই সুপার কাপে খেলেনি একাধিক আই লিগ দল। তার মধ্যে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানও। আই লিগ ক্লাব গোষ্ঠী ফেডারেশন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছিল তাদের এবং ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ এবং তাদের রুটম্যাপ কী হবে। কিন্তু ক্লাব জোটের সেই চিঠির উত্তর দেননি তিনি। তাতেই সুপার কাপে না খেলার সিদ্ধান্ত নেয় ক্লাব জোটে থাকা দলগুলি।
প্রফুল প্যাটেলের এশিয়ান ফুটবলের প্রতিনিধি হিসেবে ফিফায় যাওয়া তখনই গর্বের হবে যখন ভারতীয় ফুটবল হতাশার বাইরে বেরিয়ে সাফল্য পাবে, নাকি একটার পর একটা ক্লাব, টুর্নামেন্ট, ঐতিহ্যের মৃত্যু ঘটবে।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)