জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পৃথ্বী শ ডোপিংয়ের ঘটনা অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটকে ডোপিংয়ের আওতায় আনা যায় কিনা, তা নিয়ে নাজেহাল বিসিসিআই। এর মধ্যে সমস্যা বাড়িয়েছে পৃথ্বী শ–র ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়া। এই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। পৃথ্বীর ডোপ পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে এবার বোর্ডের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বোর্ড যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তার সঙ্গে পৃথ্বীর রনজি দল মুম্বইয়ের কোচ ও সাপোর্ট স্টাফদের বক্তব্যে কোনও মিল নেই।
বোঝাই যাচ্ছে, পৃথ্বীর ডোপ পরীক্ষার বিষয়টা বোর্ড যথেষ্ট পেশাদারিত্বের সঙ্গে সামলাতে পারেনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে পৃথ্বীর মূত্রে নিষিদ্ধ ‘টারবুটালাইন’ পাওয়া যায়। তখন সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলছিলেন পৃথ্বী। মুম্বইয়ের কোচ বিনায়ক সামন্ত এবং ফিজিওথেরাপিস্ট দীপ তোমর জানান, পৃথ্বী কখনওই সর্দি–কাশি বা ঠান্ডা লাগার কথা জানায়নি। তোমরের বক্তব্য, ‘পৃথ্বী বলেছিল কিছু সমস্যা হচ্ছে। পুরোটা শোনার পর ওকে শুধু বিশ্রাম নিতে বলেছিলাম। এর বাইরে আর কোনও পরামর্শ দিইনি।’
সামন্ত বলেন, ‘পৃথ্বীর জ্বর হয়েছিল। কিন্তু সর্দি বা কাশির কোনও লক্ষণ চোখে পড়েনি। আমাদের কাউকেই সেটা নিয়ে কিছু বলেওনি। কী ওষুধ খাবে, জানতেও চায়নি।’ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মুম্বই দলের ম্যানেজার ছিলেন গণেশ আইয়ার। তিনিও বলেন, ‘দেখে মনে হয়েছিল পৃথ্বীর ঠান্ডা লেগেছে। কিন্তু আমাকে কখনও কিছু বলেনি।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টি ডোপিং ম্যানেজার অভিজিৎ সালভি পৃথ্বীকে নিয়ে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, সেখানে অবশ্য অন্য কথা বলা হয়েছে। তিনি ওই রিপোর্টে জানিয়েছেন, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (এনসিএ) প্রধান তুফান ঘোষ এবং ফিজিও আশিস কৌশিক বলেছেন, সর্দি–কাশি নিয়ে পৃথ্বী ওর বাবার সঙ্গেই আলোচনা করে। উনিই স্থানীয় ওষুধের দোকানে যান। সেখানে পৃথ্বীর সমস্যার কথা বলেন। দোকান থেকেই সংশ্লিষ্ট ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, একজন ভারতীয় ক্রিকেটার নিজের খাওয়া নিয়ে সবসময় অত্যন্ত সচেতন থাকে। ফলে পৃথ্বী হোটেল থেকে বেরিয়ে একেবারে ওষুধের দোকানে গিয়ে তাদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে নিয়েছেন, এই তথ্য কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
এদিকে পৃথ্বীর যাঁরা ঘনিষ্ঠ, তাঁদের বক্তব্য বাবার সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগই নেই এই ক্রিকেটারের। তাঁর স্থানীয় অভিভাবক এক শিবসেনা বিধায়ক। গত ১০ বছর ধরে মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে থাকেন পৃথ্বী। তারওপর ইন্দোরে যে হোটেলে মুম্বই দল ছিল, সেখানে চিকিৎসকও ছিলেন। ফলে পৃথ্বী তাঁর কাছে না গিয়ে বাবার পরামর্শে বাইরে থেকে ওষুধ খেয়েছেন এই যুক্তিও মানতে পারছেন না অনেকে।