জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পিভি সিন্ধু মরশুমে জীবনের সেরা ম্যাচটা খেলেছিলেন চীনের চেন ইউফেইয়ের বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছিল ইন্দোনেশিয়া ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হয়ে ৭ মাসের ট্রফি খরা কাটাবেন। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারলেন না পিভি সিন্ধু । ফাইনালে প্রতিযোগিতার চতুর্থ বাছাই জাপানের আকানে ইয়ামাগুচির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নেরস্বপ্ন অধরাই থেকে গেল এই ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকার কাছে।
বিগত সাত মাস কোনও ট্রফির মুখ দেখেননি পিভি সিন্ধু । এ বছরের সেরা সাফল্য বলতে সিঙ্গাপুর ওপেন ও ইন্ডিয়া ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা। ইন্দোনেশিয়া ওপেনেরসেমিফাইনালে যেভাবে অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন চেন ইউ ফেইকে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়েছিলেন, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন আকানে ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধেও জিততে সমস্যা হবে না।
একদিকে যেমন দুরন্ত ফর্ম, অন্যদিকে তেমনি ইয়ামাগুচির বিরুদ্ধে সাফল্যের পরিসংখ্যান। ইন্দোনেশিয়া ফাইনালের আগে ১৪ বারের সাক্ষাৎকারে ১০ বার জিতেছিলেন সিন্ধু, ৪ বার ইয়ামাগুচি। এই জাপানি তারকার কাছে সিন্ধু শেষবার হারেন গত বছর অল ইংল্যান্ড ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও ইন্দোনেশিয়া ওপেনে ফাইনালের চাপ নিতে পারেন নিসিন্ধু। ইয়ামাগুচির কাছে হারেন ২১–১৫, ২১–১৬ ব্যবধানে।
প্রথম গেমে শুরুটা একেবারেই ভাল করতে পারেননি সিন্ধু।শুরুতেই ০–৩ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন। তবে দারুণ ভাবেই ম্যাচে ফেরেন। ৫–৪ ব্যবধানে এগিয়েও যান। মাঝে দু’জনের লড়াই জমে ওঠে। একসময় ফল ছিল ১৪–১৪।
এরপরই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ইয়ামাগুচি। ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ২১–১৫ ব্যবধানে প্রথম গেম জিতে নেন। দ্বিতীয় গেমের শুরুটাও দুর্দান্ত করেন ইয়ামাগুচি। ৪–১ ব্যবধানে এগিয়ে যান।একসময় ইয়ামাগুচির পক্ষে ফল ছিল ১৫–১১। এই সময় টানা ৫১ শটের লড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত জাজমেন্টের ভুলে পয়েন্ট হারান সিন্ধু।
ইয়ামাগুচির দু’টি আনফোর্সড এরর ম্যাচে ফিরিয়েছিল ভারতীয় ব্যাডমিন্টন তারকাকে। এই সময় ১৬–১৩ পয়েন্টে এগিয়েছিলেন ইয়ামাগুচি। শেষ পর্যন্ত ২১–১৬ ব্যবধানে জিতে জীবনের সব থেকে বড় খেতাব জিতে নেন এই জাপানি তারকা।
(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)