জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুনীল ছেত্রীর জোড়া গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের দিকে অনেকটাই এগিয়ে গেল ভারতীয় ফুটবল দল। এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য দরকার ছিল ৪ পয়েন্ট। এই ম্যাচ থেকেই তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়া ছিল লক্ষ্য। কারণ একটু হলেও সহজ প্রতিপক্ষ। কিন্তু অতটাও সহজ হল না ভারতীয় ফুটবল দলের জন্য। কাতারের বিরুদ্ধে যে দাপট নিয়ে ভারতকে খেলতে দেখা গিয়েছিল এদিন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরুতে তেমনটা দেখা গেল না। প্রথমার্ধ বেশ ছন্নছাড়া। গোলের কাছে গিয়ে বার বার খেই হারালেন ছেত্রী, উদান্ত, সেনারা। গোল মুখি শট বার বার দিকভ্রষ্ট হল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে ভারত খেলায় ফিরল। পর পর গোল করে জয় এনে দিলেন সেই অধিনায়কই।
বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের ম্যাচে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি ভারতের। বিশ্বকাপের সুযোগ আগেই হাতছাড়া হয়েছে। তবে এশিয়ান কাপ রয়েছে। যার জন্য এই ম্যাচ জেতা খুবই জরুরী ছিল। শেষ পর্যন্ত সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে দেশকে জয় উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক। শুরু থেকেই ম্যাচের পারদ ছিল তুঙ্গে। প্রথম থেকেই ফিজিক্যাল ছিল দুই দলই। যার ফলে ম্যাচ শুরুর ২ মিনিটের মধ্যেই ব্রেন্ডনকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন রাকিব।
মাঝ মাঠে খেলাটা জমলেও গোলের সামনে গিয়ে ফিনিশ করতে পারছিল না ভারতীয়রা। বার বার সুযোগ তৈরি হলেও তা নষ্ট হয় অল্পের জন্য। গোল লাইন সেভও হয় ভারতের গোলমুখি শট। একটা সময় বাংলাদেশও আক্রমণে ওঠে। কিছুক্ষণের জন্য ভারতের রক্ষণকে ব্যস্তও রাখে তারা। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৬ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। এই প্রথম। গোলের নিচে আনিসুরকে একা পেয়েও গোলে বল ঠেলতে ব্যর্থ মনভীর।
🗣️ @chetrisunil11: “To win 3⃣ points, win a full game is sweet! I’m really happy that we also kept a clean sheet” 👊
How do you rate that effort from the #BlueTigers on both ends of the field?#BANIND ⚔️ #WCQ 🏆 #BackTheBlue 💙 #IndianFootball ⚽ pic.twitter.com/RsemCez8qg
— Indian Football Team (@IndianFootball) June 7, 2021
উদান্তর শট ক্রসবারে লেগে বেরিয়ে যায়। ৩৫ মিনিটে পর পর সুযোগ চলে আসে ভারতের সামনে। ব্রেন্ডনের কর্নারে সানার হেড শুয়ে পড়ে বুক দিয়ে বাঁচান রিয়াদুল কর্নারের বিনিময়ে। দ্বিতীয় কর্নার থেকে সুনীলের হেড পোস্টের গা ঘেষে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবেই।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুটো পরিবর্তন করেন কোচ। উদান্ত ও বিপিনকে তুলে ইয়াসির ও আশিককে নামান। দুটো উইংকে সচল করতেই এই সিদ্ধান্ত কোচের। প্রথমার্ধে যেটা খানিকটা অচলই ছিল। এর পর মনভীরের জায়গায় নামেন লিস্টন। গোলের মুখ খুলতে মুখিয়ে ছিলেন কোচ। তার মধ্যেই ৬৩ মিনিটে সুনীল ছেত্রীর নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট। ফাঁকা গোলে হেডে গোল করতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে শেষবেলায় তিনিই উদ্ধারকর্তা।
৭৯ মিনিটে সেই সুনীল ছেত্রী। আশিক কুরিয়ানের বাঁদিক উড়ে আসা শট সুনীল সঠিক জায়গায় পেয়ে গিয়েছিলেন। এবং সেই উড়ে আসা বল টপু বর্মনের পিছন থেকে হেডে গোলে পাঠান। গোলের নিচে আনিসুরের কিছুই করার ছিল না। শেষবেলায় আরো দুটো পরিবর্তন করেন কোচ। সানা ও ব্রেন্ডনের জায়গায় মাঠে নামে প্রণয় ও আদিল। যদিও তখন অতিরিক্ত সময়ের ম্যাচ চলছে। আর তার পরই দ্বিতীয় গোল। চার মিনিটের অতিরিক্ত সময়ে সুরেশের ব্যাকপাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে সরাসরি গোলে শট নেন ক্যাপ্টেন। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)