জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বাঁহাতি–ডানহাতি জুটি বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু ভারতীয় দলে টপ অর্ডারে শিখর ধাওয়ান ও লোয়ার অর্ডারে স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ছাড়া আর কোনও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নেই। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কম থাকলেও ভারতের কোনও সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন শচীন তেন্ডুলকার। ভারতীয় দলের যা ব্যাটিং শক্তি, তাতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অভাব মিটিয়ে দেবে বলে তাঁর ধারণা। শচীন বলেছেন, ‘বাঁহাতি–ডানহাতি কম্বিনেশন বোলারদের লাইন–লেংথ বজায় রাখার ব্যাপারে সমস্যায় ফেলে দেয়। ক্যাপ্টেনকেও বারবার ফিল্ডিং বদল করতে হয়। কিন্তু দলে যদি দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটসম্যান থাকে, তাহলে বাঁহাতি–ডানহাতি কম্বিনেশন না হলেও সমস্যা হবে না। আমাদের দলে বেশ কয়েকজন ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছে। যারা নিজেদের দারুণভাবে মেলে ধরতে সক্ষম হবে।’ ভারতীয় দলে রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানের মতো অভিজ্ঞ ওপেনিং জুটি রয়েছে। তিন নম্বরে
আসবেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। টপ অর্ডার নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। চিন্তা চার নম্বর জায়গা নিয়ে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করে চার নম্বর জায়গার জোরালো দাবিদার হয়ে উঠেছেন লোকেশ রাহুল। পাঁচ নম্বরের জন্য রয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যার ৩৪১টি একদিনের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ধোনি থাকায় মিডল অর্ডারে শক্তি অনেকটাই বেড়েছে বলে মনে করছেন শচীন। ধোনিকে বর্তমান ক্রিকেটে সেরা ফিনিশার হিসেবে অভিহিত করে শচীন বলেছেন, ‘উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে বাইশ গজের চরিত্র সম্পর্কে সবথেকে ভাল জানতে পারে ধোনি। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বল কখন থমকে যাচ্ছে, কখন বাউন্স হচ্ছে, যাই হোক না কেন, ধোনিই সব থেকে ভাল বুঝতে পারে বল কীভাবে আসছে। ও জানে কোথায় ফাঁকা জায়গা রয়েছে, কীভাবে ফাঁকা জায়গা পূরণ করা সম্ভব। ওর অবদান ও পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। অন্য উইকেটকিপাররাও একই জিনিস করার চেষ্টা করবে। কিন্তু অন্যদের তুলনায় ধোনির অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। ওর অভিজ্ঞতাই পার্থক্য গড়ে দেবে।’
ভারতীয় দলের বোলিং শক্তির ওপরও ভরসা করছেন শচীন। তিনি বলেছেন, ‘ভুবনেশ্বর কুমারের মতো বোলার রয়েছে, যে বল সুইং করাতে পারে। সামির হাতে গতি রয়েছে। বুমরা এই মুহূর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা বোলার। এছাড়া চাহাল, কুলদীপের মতো রিস্ট স্পিনার রয়েছে। এই দুই বোলার মাঝের ওভারগুলোতে বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে। রবীন্দ্র জাদেজাও রান আটকানোর ব্যাপারে দক্ষ। হার্দিক পান্ডিয়া, বিজয় শঙ্কর, কেদার যাদবের মতো সাহায্যকারী বোলারও রয়েছে। আমার মনে হয় ভারতীয় দলের বোলিংয়ে দারুণ ভারসাম্য রয়েছে।’
আগের দুটি বিশ্বকাপে ১৪টি করে দল খেলেছিল। এবার ১০টি দল অংশ নিচ্ছে। দল কমা প্রসঙ্গে শচীন বলেছেন, ‘যদি এটাকে বিশ্বকাপই বলা হয়, তাহলে আরও বেশি দলের খেলা উচিত। আরও বেশি দল কীভাবে খেলানো যায়, সেই রাস্তা খুঁজে বার করতে হবে। তবে এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। বিশ্বকাপে ১০–এর বেশি দল অংশগ্রহণ করছে, এটাই আমি দেখতে চাই। তবে খেলার মানের সঙ্গে আপস করে চলবে না।’ ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ যে ফরম্যাটে হচ্ছে, তাতে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়লেও দলগুলির পরের দিকে সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন শচীন। তিনি বলেছেন, ‘এই ফরম্যাট দলগুলিকে ফিরে আসার সুযোগ দেবে। জ্বলে ওঠার আগে কোনও দল প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেবে না।’