জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য সুখবর, ক্রোয়েশিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্লাব থেকে এটিকে মোহনবাগানে ফিরে আসছেন তারকা ডিফেন্ডার Sandesh Jhingan । বৃহস্পতিবার নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে এক লাইনে এই খবর জানিয়ে দেয় কলকাতার ক্লাব। গত অগাস্ট মাসে মলদ্বীপে এএফসি কাপে খেলতে যাওয়ার আগেই সন্দেশ ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ফুটবলে খেলতে যাচ্ছেন, তাই এই মরশুমে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে খেলতে পারবেন না। তাতে ক্লাব আপত্তি করেনি। তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব এইচএনকে সিবেনিকে তাঁর সময় খুব একটা ভাল কাটেনি। অনুশীলনে দ্বিতীয় দিনই চোট পান তিনি। গত তিন মাসে আরও তিনবার তাঁর পায়ের পেশীতে চোট লাগে। তাই ওই ক্লাবের হয়ে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। এর মধ্যেই কলকাতার ক্লাব তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই দেশে ফিরে আসারই সিদ্ধান্ত নিলেন সন্দেশ। তবে সম্ভবত এখনই মাঠে নামা হচ্ছে না সন্দেশের। নিয়ম অনুযায়ী আট দিনের কোয়ারান্টাইন পর্ব সেরে নতুন কোচের তত্ত্বাবধানে অনুশীলনে নামবেন তিনি। তার পরে নিজেকে ম্যাচ ফিট প্রমাণ করার পরে হয়তো মাঠে নামবেন। সম্পূর্ণ ফিট সন্দেশ দলে যোগ দিলে এটিকে মোহনবাগানের রক্ষণবিভাগ যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
গত মরশুমে এটিকে মোহনবাগানের হিরো আইএসএল ফাইনালে পৌঁছনোর অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই পঞ্জাবী ডিফেন্ডারের। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন তাঁকে ২০২০-২১ মরশুমের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দেয়। হিরো আইএসএলের প্রথম মরশুমেই ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্য লিগ নির্বাচিত হয়েছিলেন ঝিঙ্গন। ২০১১-১২-য় আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশন ক্লাব সিকিম ইউনাইটেডের হয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ করা এই ফুটবলার টানা ছ’বছর কেরালার ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন। পাশাপাশি ভারতীয় দলেরও নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৬-র হিরো আইএসএলে দলকে ফাইনালেও তুলেছিলেন তিনি। তবে ফাইনালে এটিকে এফসি-র কাছে হেরে যান।
২০১৭-১৮ সালে কেরালা ব্লাস্টার্সের অধিনায়ক ঘোষণা করা হয় তাঁকে। দলের রক্ষণে রীতিমতো দুর্ভেদ্য দেওয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। সে বার তাঁর দল মাত্র ২২টি গোল খেয়েছিল, হেরেছিল মাত্র পাঁচটি ম্যাচে। তবে ২০১৯-২০ মরশুমে খেলতেই পারেননি ২৮ বছর বয়সি এই ডিফেন্ডার। কেরালার দল তাঁর অনুপস্থিতিতে ৩২ গোল খেয়ে লিগ তালিকায় সাত নম্বর জায়গাটা নেয়।
১৩ মাস মাঠের বাইরে থাকার পরে গত মরশুমের আগে এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তিতে সই করেন সন্দেশ। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে ২২টি ম্যাচ খেলেন। সারা মরশুমে ৫২টি ট্যাকল, ২৬টি ইন্টারসেপশন, ১১৯টি ক্লিয়ারেন্স ও ৪০টি ব্লকের হিসেব জমা হয় তাঁর পারফরম্যান্সের খতিয়ানে। সারা মরশুমে মাত্র দু’বার হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। কোনও লাল কার্ড ছিল না। এতটাই পরিচ্ছন্ন ফুটবল খেলেন তিনি। দলের নেতৃত্বের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। সবুজ মেরুন সমর্থকদের ভালবাসাই হয়তো তাঁকে ফের সবুজ-মেরুন শিবিরে টেনে নিয়ে এল।
(লেখা ও খবর আইএসএল ওয়েব সাইট)
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)