ওরা রাস্তায় জন্মায়, রাস্তায় বাঁচে, ওরা বিশ্বকাপও খেলবে

স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপস্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্ট্রিট চাইল্ড ওয়ার্ল্ড কাপ, একটা স্বপ্ন দেখা যেতেই পারে। যদি ওরা রাস্তায় জন্মায়, বেড়ে ওঠে ওই রাস্তারই ফুটপাথে, তাতে কী হয়েছে? খুঁটে খেয়ে বড় হয়ে জীবনটাই শেষ হয়ে যায় রাস্তায়। ভিক্ষে করা বা জুতো পালিশের মতো কাজ থেকে কেউ কেউ চলে যায় অন্ধকার জগতেও। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাই হয়। সেখান থেকেই ছেলে-মেয়েদের সঠিক পথে ফেরাতে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল ২০১০ সালে।

ট্যাগ লাইন, ‘দ্য ফিউচার ডিপেন্ডস অন ইউ’। বৃহস্পতিবার মস্কোতে কিক অফ হয়ে গেল এই অভিনব বিশ্বকাপের। আর একমাস পড়েই এই রাশিয়া মাতাবে বিশ্বের সেরারা। তার আগে রাস্তায় লুটোপুটি খেয়ে, খেলে বড় হওয়ারাও যে বিশ্ব কাপ খেলতে পারে সেটাই দেখাচ্ছে এই আয়োজন। কে বলতে পারে এখান থেকেই ভবিষ্যতে উঠে আসবে ভবিষ্যতের নেইমার, মেসি, রোনাল্ডোরা।

রাস্তায় বড় হওয়া ছেলেরা স্বভাবতই নানা রকম খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে পড়ে। যাতে তেমনটা না হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ। বিশ্ব জুড়ে রাস্তায় থাকা ২০০র উপর ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছিল দু’মরসুম আগে।  এ বার ২৪টি দল খেলবে এই স্ট্রিট বিশ্বকাপে। তার মধ্যে ১২টি ছেলেদের দল ও ১২টি মেয়েদের দল।

২০১০ স্ট্রিট বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলা আন্দিল বলেন, ‘‘যখন মানুষ আমাদের রাস্তায় দেখে তখন আমাদের স্ট্রিট বয়ই আখ্যা দেয়। কিন্তু ওরাই যখন আমাদের ফুটবল খেলতে দেখে তখন আর আমাদের স্ট্রিট বয় বলে না। ওরা তখন আমাদের ওদের মতই ভাবে।’’

ওরা রাস্তায় জন্মায়

গোল.কম পুরো টুর্নামেন্টটি ফেসবুকে লাইভ করবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে মহিলাদের রাশিয়া বনাম ব্রাজিলের ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে টুর্নামেন্ট। সব ম্যাচ খেলা হবে রাশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স, লোকোমোটিভ মস্কো’স, সাপসানা এরিনায়। বিশ্ব ফুটবলের অনেক বড় নামই জড়িয়ে রয়েছে এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে। তার মধ্যে অন্যতম ইংল্যান্ড ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট। তিনি বলেন, ‘‘স্ট্রিট চাইল্ড বিশ্বকাপ দারুণ ইভেন্ট।’’

এল ক্লাসিকো, ৪৫ মিনিট ১০ জনের বার্সাকে হারাতে পারল না রিয়েল

প্রাক্তন আর্সেনাল মিডফিল্ডার গিলবার্তো সিলভা স্ট্রিট চাইল্ড ইউনাইটেডের সঙ্গে মিলে কাজ করছেন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে। তিনি বলেন, ‘‘আমি গর্বিত এই টুর্নামেন্টের অ্যাম্বাসাডর হতে পেরে। ওদের পাশে থাকতে পেরে আমি খুশি।’’ প্রথমটি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। দ্বিতীয়টি হয়েছিল ব্রাজিলে। এ বার হবে রাশিয়ায়। আশা করাই যায় এ ভাবেই বিশ্ব ফুটবল স্ট্রিট চাইল্ডদের পাশে থাকবে। ওঁদের মধ্যে থেকেই কাউকে হয়তো দেখা যাবে আসল বিশ্বকাপে। কে বলতে পারে কার ভাগ্যে কী লেখা রয়েছে।