জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: সুরেশ রায়না হাঁটলেন ধোনির দেখানো পথেই। যেন তৈরিই ছিল চিত্রনাট্য। যেন পরিকল্পনা করেই নেমেছিলেন ভারতীয় দলের হয়ে এক সঙ্গে খেলা দুই অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। তা বলে এক সঙ্গে অবসর! না এমনটা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি হয়তো আর হবেও না। আর সেই নজিরই রেখে গেলেন সুরেশ রায়না । এমএস ধোনির অবসর ঘোষণার এক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের মতো করে অবসর ঘোষণা করে দিলেন সুরেশ রায়না ।
সুরেশ রায়না জানিয়ে দিলেন মাহির চলার সঙ্গী যে ভাবে এতদিন তিনি ছিলেন ঠিক সেভাবেই বিদায়ের পথেও তিনি তাঁর সঙ্গী হলেন। ক্যাপ্টেনের পথেই হাঁটলেন তিনি। ঘোষণা করলেন অবসর।
ইনস্টাগ্রামে ভারতীয় এই ব্যাটসম্যান জানিয়ে দিলেন অবসরের কথা। ইনস্টাগ্রামে রায়না লেখেন, ‘‘তোমার সঙ্গে খেলা অসাধারণ ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি গর্বিত এটা ভেবে যে আমি তোমার সঙ্গে এই চলায় সঙ্গী হতে চাই। ভারতকে ধন্যবাদ। জয় হিন্দ।’’ এক সঙ্গে শুধু জাতীয় দলে নয় দীর্ঘদিন ধরে এক সঙ্গে খেলছেন আইপিএল-এও। ভারতীয় দলে ডাক পাননি সুরেশ রায়নাও অনেকদিন।
পাঁচ ফুট ন’ইঞ্চির এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান জাতীয় দলের জার্সি পরেছিলেন ২০০৫-এ শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। টেস্ট অভিষক ২৬ জুলাই। সেই বছরই একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ৩০ জুলাই। এক বছর পর টি২০ খেলার সুযোগ আসে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২০০৬-এর ১ ডিসেম্বর।
১৯টি টেস্ট ম্যাচে রায়নার রান ৭৬৮, গড় ২৬.১৮। একটিমাত্র সেঞ্চুরি করেছিলেন। হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা সাত। সর্বোচ্চ রান ১২০। বল হাতেও টেস্টে সাফল্য এসেছে। নিয়েছিলেন ১৩ উইকেট।
রায়না আসলে ছিলেন লিমিটেড ওভারের ক্রিকেটার। তিনি তাঁর কেরিয়ারে ২২৬টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ৫৬১৬ রান, গড় ৩৫.৩১। একদিনের ক্রিকেটে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ৩৬টি হাফ সেঞ্চুরি। সবোর্চ্চ রান অপরাজিত ১১৬। ৩৬টি উইকেটও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।
টি২০তে ৭৮টি ম্যাচ খেলে রায়নার রান ১৬০৫, গড় ২৯.১৮। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান ১০১। ১৩টি উইকেট নিয়েছে টি২০তে। একটা সময় ভারতীয় লিমিটেড ওভারের বিশ্বস্ত সারথী ছিলেন সুরেশ রায়না।
কিন্তু গত দু’বছরে জাতীয় দতলের জার্সি পরার সুযোগ হয়নি তাঁর। তিনি শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১৫-র ১০ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। তার পর ওডিআই দলে নিয়মিত ছিলেন। ২০১৮-র ১৭ জুলাইউ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেন তিনি। টি২০তে তাঁর শেষ ম্যাচ ইংল্যান্ডেরই বিরুদ্ধে ৮ জুলাই।
আইপিএল-এর শুরু থেকে ধোনির মতো তিনিও ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম সদস্য। ২০০৮ থেকে ২০১৫ টানা খেলার পর নির্বাসিত হয় চেন্নাই। সেই সময় ২০১৬-২১৭তে তিনি খেলেন গুজরাত লায়ন্সের হয়ে। ২০১৮ থেকে আবার ধোনির সঙ্গেই ফেরেন নির্বাসন কাটিয়ে ফেরা চেন্নাই দলে।
সবটাই যেন সমানে সমানে মাপা ছিল এই দুই ক্রিকেটারের। শুরু থেকে শেষ এক পাতায় লেখা হল এমএস ধোনি ও সুরেশ রায়নার ক্রিকেট কেরিয়ারের কাহিনী।
(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)