জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিক ২০২০ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত হয়েই গেল। মঙ্গলবার ফোনেই আলোচনায় বসেন অলিম্পিক হেড থমাস ব্যাচ ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানান যাতে গেমস কোনওভাবে বাতিল না করা হয়। এই অবস্থায় গেমস পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা ছিল না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ইতিমধ্যেই অনেক দেশ অলিম্পক থেকে নাম তুলে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে কানাডা ও আমেরিকা সবার আগে অ্যাথলিটদের দেশের বাইরে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই।
তাদের পথ ধরে অনেকেই সেই পথেই হাঁটার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে বলেছিল। কিন্তু তার আগেই পিছিয়ে গেল অলিম্পিক। মঙ্গলবার আলোচনার শেষে যুগ্ম বার্তা দিয়ে দুই পক্ষই তাঁদের একমত হওয়ার কথা জানান।
(এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)
২৪ জুলাই থেকে ৯ অগস্ট পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল এ বারের অলিম্পিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। এই অবস্থায় গেমস হতে পারে ২০২১-এ। জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ২০২০-র শেষ থেকে ২০২১-এর সামারের মধ্যে যে কোনও সময় অলিম্পিক আয়োজন করা যেতে পারে। এবং ততদিন পর্যন্ত অলিম্পিক ফ্লেম থাকবে জাপানেই। সেই দাবিতে একমত হয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।
এ বার কিছুটা স্বস্তি পাবেন অ্যাথলিটরা। এক তো এই পরিস্থিতিতে অনেকেই ট্রেনিং করতে পারছিলেন না। তার মধ্যে যাঁরা ট্রেনিং করছিলেন তাঁরাও স্বস্তি পাচ্ছিলেন না। অলিম্পিক বাতিল হওয়ায় স্বস্তি অ্যাথলিটদের মধ্যে।
Joint Statement from the International Olympic Committee and the Tokyo 2020 Organising Committeehttps://t.co/XNcaa4Gvx8
— Olympics (@Olympics) March 24, 2020
অনেকেই বাতিলের দাবি জানাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। ভারতের হয়ে একাধিক অ্যাথলিট যাঁরা অলিম্পিকে অংশ নেবেন তাঁরাও স্থগিতের অনুরোধ করেছিলেন। গোটা বিশ্ব থেকেও যে চাপ তৈরি হয়েছিল অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়ার কার্যত তার সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হল দুই পক্ষই। বিশেষ করে জাপান। তারাই অনড় ছিল আয়োজন করার জন্য।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত তিন লাখের গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। ইতালি, স্পেনের মতো দেশে মৃত্যু মিছিল চলছে। যার থেকে কবে মুক্তি তা কেউ জানে না। এই অবস্থায় গোটা বিশ্ব জুড়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে সব ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট।
এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কোপা আমেরিকা ও ইউরো কাপের মতো ইভেন্ট। স্থগিত রাখা হয়েছে সব ধরণের লিগ। তার মধ্যে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগের মতো বড় ইভেন্ট। এবার বাতিলের অপেক্ষায় ইন্ডিয়ান সুপার লিগ।