জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টোকিও প্যারালিম্পিকে হ্যাটট্রিক ভারতীয় প্রতিযোগীদের। রবিবার রুপো জিতেই থামতে হল টেবল টেনিস তারকা ভাবিনা প্যাটেলকে। শনিবার সেমিফাইনাল জিতে রুপো আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন তিনি। রবিবার ফাইনালে চিনের প্রতিযোগীর কাছে হারের মুখ দেখতে হয় তাঁর। যদিও দেশের প্যারালিম্পিকের ইতিহাসে তার আগেই ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। তিনি এদিন হেরে যান ৩-০ সেটে। ম্যাচের ফল ৭-১১, ৫-১১, ৬-১১। টেবল টেনিস, হাই জাম্পের পর দিনের শেষে ভারতের ঘরে এল তৃতীয় পদক ডিসকাস থ্রোতে। এশিয়ান রের্কড গড়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতলেন বিনোদ কুমার।
বিনোদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পুরুষদের ডিসকাস থ্রোয়ের এফ৫২ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জেতা বিনোদের সেরা থ্রো ছিল এটিই। তিনি ছোড়েন ১৯.৯১ মিটার। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নরেন্দ্র মোদী লেখেন, ‘‘বিনোদ কুমারের অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য ভারতের তরফে তাঁকে ধন্যবাদ। ব্রোঞ্জ পদকের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা। তাঁর হার্ডওয়ার্ক এই অনবদ্য ফল নিয়ে এসেছে।’’ ৩০ বছর বয়সে এই খেলায় কেরিয়ার শুরু করেন বিনোদ। আর ৪২ বছর বয়সে এসে এই বিপুল সাফল্য। তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দীপা মালিকও। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘আজকের দিনটি স্পেশ্যাল কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একটি পদক। ৩০ বছর বয়সে খেলায় কেরিয়ার শুরু করে ৪২-এ এশিয়ান রেকর্ড গড়ে প্যারালিম্পিকে পদক জয় সত্যিকারে একাগ্রতার ফল।’’
তাঁর আগে রবিবার ভারতকে দ্বিতীয় পদক দেন ভারতের হাইজাম্পার নিশাদ কুমার। ফাইনালে তিনি রুপো জিতে নেন। পুরুষদের টি৪৭ হাইজাম্পের ফাইনালে ১.০৬ মিটার উঁচুতে লাফিয়ে এই পদর জিতে নেন তিনি। সোনাও জিততে পারতেন। অল্পের জন্য তা হাতছাড়া হয়। তিনিও এদিন এশিয়ান রেকর্ড গড়েন। তাঁকেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘টোকিও থেকে আরও আনন্দের খবর আসছে। পুরুষদের হাইজাম্পের নিশাদ কুমারের রুপোর পদকে উচ্ছ্বসিত। তিনি একজন অসাধারণ অ্যাথলিট। শুভেচ্ছা।’’
টোকিও অলিম্পিকের পর প্যারালিম্পিকেও ভারতের প্রথম পদক এল এক মহিলা প্রতিযোগীর হাত ধরেই। সেখানে ভারতকে প্রথম পদক এনে দিয়েছিলেন মীরাবাঈ চানু। আর এখানে ভারতকে পদক এনে দিলেন ভাবিনা প্যাটেল। সবাইকে ফোন করেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ করে ভাবিনা তার রাজ্যের মেয়ে। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি। মাত্র ১ বছর বয়সে পোলিওয় আক্রান্ত হওয়া ভাবিনার সেই সময় চিকিৎসার খরচ সামলাতে হিমশিম অবস্থা হয় বাবা-মার। কিন্তু তাও তাঁকে সুস্থ করা যায়নি। এখন সঙ্গী হুইল চেয়ারই। তবে তা তাঁর কেরিয়ারে যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি তা আজ প্রমান হয়ে গেল। ভাবিনা তাঁর পদক দেশকে উৎসর্গ করেছেন।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)