জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ এই নিয়ে ছ’বার এল ভারতের ঘরে। সেই ১৯৮৯ থেকে শুরু। এর পর ২০০৩, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬তে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এ বার ঢাকার মাঠে শ্রীলঙ্কাকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারতের ছেলেরা।
যখন দাদারা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে ৬০০ রানের বিরাট পাহাড় গড়ছেন তখন পিছিয়ে নেই ভাইরাও। ওয়ান ডে-তে ৩০০ রানের পাহাড় গড়ছেন তাঁরাও। যা ছাপিয়ে যেতে ব্যর্থ প্রতিপক্ষ। ১৪৪ রানে জিতেই ঢাকা থেকে দেশে ফিরছে ভারতের যুব দল। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাঁরা এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই বিরাটদের দলকে।
রবিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। ৫০ ওভারই দাঁপিয়ে ব্যাটিং করলেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে তুলে নিলেন ৩০৪ রান। ওপেন করতে নেমে যশ জয়সওয়াল ১১৩৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন। ৫৭ রান করে তাঁকে যোগ্য সঙ্গত অনুজ রানাওয়াতের।
ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট শেষ হয়ে গেল তিন দিনেই
অনুজ আউট হওয়ার পর তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি না করতে পারলেও ৩১ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইড়িংস খেলেন দেবদূত পারিক্কাল। এর পর বাকি কাজটি করে দেন অধিনায়ক সিমরান সিং আর আয়ুশ বাদোনি। দু’জনেই অপরাজিত থাকেন ৬৫ ও ৫২ রানে। আর ব্যাটসম্যানদের দাপটে ভারতের রান পৌঁছে যায় ৩০৪-৩-এ।
বিরাট রানের লক্ষ্যে নেমে ৩৮.৪ ওভারে মাত্র ১৬০ রানেই শেষ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। শ্রীলঙ্কার হয়ে ব্যাক্তিগত সবোর্চ্চ রান ওপেনার ফার্নান্ডোর ৪৯। এর পর পেরেরা ১২, সূর্যবন্দরা ৩১, কেকেভি পেরেরা ০, এমএনকে ফার্নান্ডো ৪, পারানাভিথানা ৪৮, ওয়েলালাগে ৭, মালিঙ্গা ০, মেন্ডিস ১, সেনারাথে ১ রান করে আউট হন।
ভারতীয় বোলারদের দাপটের সামনে দাড়াতেই পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। ভারতের সফলতম বোলার হর্ষ ত্যাগী। ১০ ওভার বলল করে ৩৮ রান দিয়ে ৬টি উইকেট নেন তিনি। ত্যাগীর বলের সামনেই হাল ছেড়ে দেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। জোড়া উইকেট নেন দেশাই। একটি উইকেট জ্যাংরার।
ভারতের জুনিয়র টিমের সাফল্য চলছেই। এঁরাই বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের ভবিষ্যৎ। যে ভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক পৃথ্বী শ এই মুহূর্তে সিনিয়র টেস্ট দলে অভিষেক ঘটিয়ে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন সে ভাবেই এককদিন জায়গা করে নেবেন ত্যাগীরা। যে ভাবে জুনিয়র দদল থেকেই নিজেকে চিনিয়েছিলেন স্বয়ং বিরাট কোহলিও।