রেকর্ড বিরাটের, ছাপিয়ে গেলেন ব্র্যাডম্যান-পন্টিংকে, ফিরে পেলেন শীর্ষস্থানও

বিরাট কোহলি

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রেকর্ড বিরাটের । দলের জয়ে বিরাট কোহলির ২০০ রান। এই নিয়ে সাতবার। ছাপিয়ে গেলেন ডন ব্র্যাডম্যান ও রিকি পন্টিংকে। সদ্য শেষ হওয়া ট্রেন্ট ব্রিজ টেস্টে দুই ইনিংস মিলে বিরাটের ব্যাট থেকে এল ২০০ রান। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে করলেন ১০৩ রান। আর এই নিয়ে সপ্তমবার এল ভারতের জয়ে বিরাটের ২০০ রান। ব্র্যাডম্যান ও রিকি পন্টিং করেছিলেন ছ’বার করে।

প্রথম ভারতের জয়ে বিরাটের ব্যাট থেকে ২০০ রান এসেছিল ২০১৬তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। সে বার প্রথম ইনিংসেই ডবল সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট। এর পরের চারটি আসে ২০১৬-১৭ মরসুমে। প্রথমটি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২২৮ রান। প্রথম ইনিংসে ২১১ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ রান করেছিলেন। এর পরেরটি আসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৪৮ রান। প্রথম ইনিংসে ১৬৭ ও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৮১ রান।

এই মরসুমের তৃতীয় ম্যাচে আবারও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। পুরো রানটিই করেন প্রথম ইনিংসে। মরসুমের শেষ ২৪২ রান আসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংস করেন মাত্র ২৮। এর আগের শেষ ২০০ রানটি করেন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে। প্রথম ইনিংসেই তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২১৩ রান।

জানাই ছিল পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হতেই শেষ হয়ে যাবে

এই রেকর্ডের সঙ্গেই টেস্ট ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানও ফিরে পেলেন বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৯ ও ৫১ করে পৌঁছে গিয়েছিলেন শীর্ষে। দ্বিতীয় ব্যাটে রান না আসায় নেমে যেতে হয়েছিল। তৃতীয় টেস্টে ৯৭ ও ১০৩ রান করে ফিরে পেলেন শীর্ষ স্থান। ৯৩৭ পয়েন্ট নিয়ে পিছনে ফেলে দিলেন নির্বাসিত স্টিভ স্মিথকে।

সর্বকালের পয়েন্টের নিরিখে  বিরাট কোহালি রয়েছেন ১১ নম্বরে। তাঁর আগে রয়েছেন ডন ব্র্যাডম্যান (৯৬১), স্টিভ স্মিথ (৯৪৭), লেন হাটন (৯৪৫), জ্যাক হবস (৯৪২), রিকি পন্টিং (৯৪২), পিটার মে (৯৪১), গ্যারি সোবার্স-ক্লে ওয়ালকট-ভভিয়ান রিচার্ডস- সঙ্গাকারা (৯৩৮)। তবে টেস্ট ব্যাটিং র‌্যাঙ্কিংয়ে এমন একজনের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে যিনি বছরের শুরু থেকেই নির্বাসিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। দীর্ঘদিন খেলেননি কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তবুও ঘুরে ফিরেই তিনি পৌঁছে যাচ্ছে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে। দ্বিতীয় টেস্টে বিরাট যখন নেমে গিয়েছিলেন তখন আবার স্বমহিমায় উঠে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সেই স্টিভ স্মিথ। যার পর আইসিসি-র এই র‌্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।