আইপিএল ফাইনালে কে, কারাই বা বাজিমাত করবেন? দেখে নিন এক ঝলকে

আইপিএল ফাইনালে কে

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: আইপিএল ফাইনালে কে, তা আজই নির্ধারিত হয়ে যাবে। কলকাতার ভাগ্য বেশ ভাল। আবার ঘরের মাঠেই সেই ফাইনালে যাওয়ার লড়াই। এ বার প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। আর সেই ঘরের মাঠেই এই ম্যাচ থেকে যে এক্সট্রা অ্যাডভান্টেজ নেওয়ার লক্ষ্যেই নামবে কেকেআর তাও নিশ্চিত। এমনিতেই ঘরের মাঠ, তার উপর সমর্থকদের সাপোর্ট, সব মিলিয়ে ম্যাচের আগেই এক ধাপ এগিয়ে দীনেশ কার্তিকের দল।তবুও হায়দ্রাবাদকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও জায়গা নেই। লড়াই দেবে তারাও। চেন্নাইকে রীতিমতো কষ্ট করেই জিততে হয়েছিল। শেষ চার ম্যাচে হারতে হলেও, যে কোনও দিন নিজেদের সেরা ফর্মে থাকলে অপ্রতিরোধ্য কেন উইলিয়ামসনের দল। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এই দুই দলের আজ কাঁরা কাঁরা বাজিমাত করতে পারেন।

কলকাতা নাইট রাইডার্স:

সুনীল নারিন: কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধাণ অস্ত্র সুনীল। বল হাতে সুনীলকে ভেদ করা এখনও অসম্ভব বহু ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাট হাতে নারিন যে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছেন তা এক কথায় অনবদ্য। ১৫ ম্যাচে ৩৩১ রান করেছেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১৮৯.১৪। সর্বোচ্চ রান ৭৫। বল হাতে নিয়েছেন ১৬টি উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.৭৭।

ক্রিস লিন: সুনীলের ওপেনিং পার্টনার এই অজি বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানও এই ম্যাচে কেকেআর এর অন্যতম বাজি হতে চলেছে। ১৫ ম্যাচে মোট ৪৪৩ রান করেছেন লিন। তাঁর সর্বোচ্চ রান এই মরসুমে ৭৪। পাশাপাশি এই মরসুমে এসআরএইচের বিরুদ্ধেও লিনের পারফরম্যান্স বেশ নজরকাড়া।

দীনেশ কার্তিক: কেকেআর এর জার্সিতে প্রথম মরসুমেই চমক দিচ্ছেন দীনেশ কার্তিক। শুধু ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রেই নয়, অধিনায়ক হিসেবেও তাক লাগাচ্ছেন কার্তিক। এই মরসুমে এখনও পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলে ৪৯০ রান করেছেন কার্তিক। গড় ৫৪.৮৮। ফলে এই ম্যাচ জিততে গেলে স্ব-মেজাজে ধারা দিতেই হবে কেকেআর সেনাপতিকে।

কুলদীপ যাদব: ১৫ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ১৫টি উইকেট পেয়েছেন কুলদীপ। এই মরসুমে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও কুলদীপের পারফরম্যান্স বেশ ভাল। ইডেনের স্পিন সহায়ক উইকেটে কুলদীপকে ভাল পারফরম্যান্স করতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে কেকেআর-এর ভাল পারফরম্যান্সের অনেকটাই নির্ভর করবে কুলদীপের উপর।

প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ: তরুণ এই পেশারকে মাত্র ২০ লক্ষ টাকায় দলে নিয়েছিল কেকেআর।প্রথম দিকে সুযোগও পাননি সেই রকম। শিভব মাভি চোট পাওয়ার পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনান কর্ণাটকের এই ক্রিকেটার। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচেও ভাল পারফর্ম করেছিলেন এই তরুণ পেশার।

শেষ পর্যন্ত কাউন্টি খেলা হচ্ছে না বিরাট কোহালির

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ:

কেন উইলিয়ামসন: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সব থেকে বড় ভরসার নাম কেন উইলিয়ামসন। শুধু ব্যাটিং বা ফিল্ডিংয়েই নয়, যে ভাবে প্রতি মুহূর্তে অধিনায়ক হিসেবে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন তা অনবদ্য। স্রেফ নিখুঁত অধিনায়কত্ব করে কী ভাবে ম্যাচ বেড় করা যায় তা দেখিয়েছেন কেন। প্রথম এই জিনিস শুরু করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

কার্লোস ব্রেথওয়েট: নিঃসন্দেহে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের কেরিয়ারের অন্যতম জায়গা দখল করে থাকবে ইডেন গার্ডেন্স। এই মাঠেই টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শেষ ওভারে বেন স্টোকসকে পর পর চারটি ছয় মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বসেরা করেছিলেন কার্লোস। ফলে পয়া মাঠে বিধ্বংশী মেজাজে ফের যদি তাঁকে দেখা যায়, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তা ছাড় গত ম্যাচেই কার্লোসকে চেনা ছন্দে পাওয়া গিয়েছে।

রশিদ খান: সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মূল শক্তি লুকিয়ে রয়েছে তাদের বোলিং বিভাগে। যার নেতৃত্ব মূলত থাকে রশিদ খানের হাতে। রশিদের চার ওভারই অনেকটা ঠিক করে দেবে ম্যাচের ভাগ্য এই চার ওভারে যদি নিজের ছন্দে পাওয়া যায় এই আফগান লেগ স্পিনারকে, তা হলে কপালে দুঃখ থাকতে পারে কলকাতার। ১৫ ম্যাচে মোট ১৮টি উইকেট নিয়েছেন রশিদ। রশিদের ইকোনমি রেট ৬.৯১।

সিদ্ধার্থ কল: এই মরসুমের আইপিএলে অন্যতম আবিস্কার সিদ্ধর্থ। নিজের পেশ এবং গতির সৌজন্যে যে কোনও সময়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার ক্ষমতা রয়েছে তাঁরা। গত ম্যাচে সিএসকের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে রান হজম করতে হলেও তাল তাঁকর দক্ষতার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে হয়। ১৫ ম্যাচে ১৯টি উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে।

ভুবনেশ্বর কুমার: ডেথ ওভারে ভুবির থেকে ভাল বোলার এই মুহূর্ত বিশ্ব ক্রিকেটে খুব কমই আছে। ১০ ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট নিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ভুবি। ফলে ভুবনেশ্বর এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে উঠতেই পারেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জন্য।