দিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন ৩৭ বছরের মহিলা

দিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগদিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দিয়েগো মারাদোনার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। কিউবার এই মহিলার বয়স ৩৭। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে মারাদোনার সম্পর্ক ছিল। তবে সেটা ২০ বছর আগে। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ১৭। অভিযোগ সেই সময় তিনি মারাদোনার অত্যাচার, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনার শিকার হয়েছেন। মেভিস আলভারেজ রেগো এখন থাকেন মিয়ামিতে। তিনি সোমবার এত বছর তাঁর জীবনের সেই সময় নিয়ে হঠাৎ কেন মুখ খুললেন সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তিনি স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৬ বছর বয়সে কী ভাবে তাঁর সঙ্গে মারাদোনার দেখা হয়েছিল।

সেই সময় কিউবাতেই থাকতেন মারাদোনা। মাদকের চিকিৎসা চলছিল তাঁর।  মেভিস বলেন, ‘‘আমি অবাক ছিলাম, ও আমাকে জিতে নিয়েছিল… কিন্তু দু’মাস পর থেকে সব বদলাতে শুরু করে। আমি ওকে ভালবাসতাম কিন্তু আমি ওকে ঘৃণাও করতাম, আমি একটা সময় আত্মহত্যার কথাও ভেবেছিলাম।’’ এক বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হন বিশ্বফুটবলের মহা তারকা। তার আগেই তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল।

ফুটবলের টপ ফর্মে থাকার সময় থেকেই মারাদোনা নেশায় আসক্ত হন। যা তাঁর জীবনে মাঝে মাঝেই সমস্যা ডেকে এনেছে। বার বার সম্পর্কে জরিয়েছেন, তৈরি হয়েছে বিতর্ক। যা মৃত্যুর পরও পিছু ছাড়ছে না। আলভারেজ রেগো এখন দুই সন্তানের জননী। একজনের বয়স ১৫ ও অ‌ন্য জন ৪। তিনি জানিয়েছেন, মারাদোনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ৪-৫ বছর পর্যন্ত ছিল। তাঁর দাবি ২০১-এ মারাদোনার সঙ্গে তিনি বুয়েনস এয়ারেসে গিয়েছিলেন। মারাদোনার সহকারিরা তাঁকে কয়েক সপ্তাহ একটি হোটেলের ঘরে আটকে রেখেছিল তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে। একা বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল এবং তাঁকে জোর করে স্তন বড় করার জন্য অস্ত্রোপচার করানো হয়েছিল।

তিনি এও দাবি করেন, হাভানায় তাঁর বাড়িতে মারাদোনা তাঁকে রেপ করেছিলেন এছাড়া তাঁর উপর বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন চালানো হত। এতদিন তিনি এই নিয়ে কোনও অভিযোগ না জানালেও সম্প্রতি এইসব কিছুর প্রমান দিয়েছেন। আর্জেন্তিনা একটি স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থা ‘ফাউন্ডেশন ফর পিস’-এর তরফে আলবারেজের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে আসার পর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর মারাদানোর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকি উপলক্ষ্যে একটি শো-য়ে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি যে আর এই নিয়ে কোনও কথা বলতে চান না তাওজানিয়ে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘‘আমার যেটা করার ছিল আমার করা হয়ে গিয়েছে। বাকিটা আমি আদালতের উপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমার লক্ষ্যে আমি  পৌঁছে গিয়েছি, বলতে পেরেছি আমার সঙ্গে কী কী হয়েছিল যাতে অন্য কারও সঙ্গে এমন হওয়াটা আটকানো যায়। বা অন্য মেয়েরাও যাতে সত্যিটা বলার সাহস পায়।’’যে ৫ জন মারাদোনার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন আলভারেজ তাঁরা সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁদের আইনজীবীর মাধ্যমে। একজন তো পাল্টা মানহানির মামলা করেছে স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)