জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: দিঘা যাবেন ভাবছেন? তাহলে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। যাঁরা ভাবছেন, লকডাউন শিথিল হয়েছে বেশি দূর না গিয়ে ঘরের পাশের দিঘা থেকেই গুরে আসা যাক, তাহলে ভুল ভাবছেন। বাড়ি থেকে গাড়ি হাঁকিয়ে হয়তো ঘণ্টা চারেকের মধ্যে পৌঁছে যাবেন সমুদ্রের পাড়ে কিন্তু ঢুকতে পারবেন কি? মেদিনীপুরে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত। এতদিন শীর্ষে থাকা উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে সমানে সমানে লড়াই দিচ্ছে, তাই কনা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে সেখানকার প্রশাসন। এবার আর চাইলেই সমুদ্রের পাড়ে ক’টা দিন কাটিয়ে আসা যাবে না।
কী কী নিয়ম থাকছে দিঘা যেতে হলে তা জেনে নেওয়া যাক—
দিঘার সীমানা পাড় করতে আপনার সামনে থাকছে দুটো রাস্তা। হয় আপনার দুটো টিকা নেওয়া থাকতে হবে। নতুবা করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। তবেই আপনি দিঘার ত্রিসীমানায় পৌঁছতে পারবেন। তা হলে কিন্তু ফিরতে হবে ব্যর্থ মনোরথে। আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিঘা প্রশাসন। তার উপর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া দিঘা সবে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে তার মধ্যে ট্যুরিস্টের বাড়বাড়ন্তে যদি কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় তাহলে সমূহ বিপদ।
সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে পর্যটকের ঢল সেখানকার প্রশাসনের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে রীতিমতো। কাতাড়ে কাতাড়ে মানুষ পৌঁছে যাচ্ছে হিম স্টেশনগুলোতে সঙ্গে কেউ মানছেন না কোভিড বিধি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে কোভিড পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কারণে কড়া নিয়ম শুরু করেছে দুই রাজ্য। কোভিড বিধি ভাঙলেন জেল, জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে যদি মানুষ সচেতন হন।
এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই আমাদের বাংলা। পাহাড়ের দরজা খুলতেই মানুষ ভিড় জমাচ্ছে দার্জিলিংয়ে। প্রথম ঢেউয়ের পর দার্জিলিংয়ের ভিড় চমকে দিয়েছিল। এবারও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বাংলার শৈল শহর? ইতিমধ্যেই দার্জিলিংয়ের কোভিড পরিস্থিতি চিন্তায় রাখছে প্রশাসনকে। কলকাতার সঙ্গে সমানে সমানে পাল্লা দিচ্ছে সেখানকার কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বরং কলকাতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না দিঘা।
সোমবার কাঁথি মহকুমা প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে, দিঘায় ঢুকতে হলে সঙ্গে রাখতে হবে টিকা করণের শংসাপত্র অথবা ৪৮ ঘণ্টা আগের করোনা নেগেটিভের সংশাপত্র। তার আগের রিপোর্ট হলে তা গ্রহনযোগ্য হবে না। হোটেলগুলোকেও একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে এই দুটোর মধ্যে একটা থাকলে তবেই থাকতে দেওয়া হয়। করোনার তৃতীয় ঝেউ আটকাতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। হোটেল যদি নির্দেশের অবমাননা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
পর্যটকদের জন্য শুধু যে বিধি নিষেধই তৈরি করা হয়েছে তা নয়। যাঁরা দিঘা বেড়াতে পৌঁছবেন তাঁদের সুরক্ষার কথাও ভাবছে প্রশাসন। যে কারণে হোটেলগুলোকে নিয়মিত জীবানুমুক্ত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমুদ্র সৈকতকে জীবানুমুক্ত করার কাজ চলছে। দমকল বিভাগের তরফে রামনগর থেকে দিঘা সৈকত পর্যন্ত সৈকতের পাশাপাশি সংলগ্ন রাস্তাকেও জীবানুমুক্ত করার কাজ চালানো হচ্ছে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)