জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হাউসবোট শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কাশ্মীরের ডাললেক বা কেরালা। যেখানে শুধুই হাউসবোটে থাকতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকেরা ভিড় জমান। দুই জায়গায় পরিবেশ একদমই আলাদা। তবুও পর্যটকদের কাছে জলের মধ্যে রাত কাটানোর আকর্ষনই বলুন বা উত্তেজনা—দু’টোই অনেক বেশি। কিন্তু দুম করে কি আর কাশ্মীর বা কেরালা যাওয়া যায়? তাবলে হাউসবোটে থাকার স্বপ্ন পূরণ হবে না সেটাও হতে পারে না। তাই এবার হাতের কাছেই হাউসবোটে থাকার সুবর্ণ সুযোগ। তাও আবার আম বাঙালির চির পরিচিত দার্জিলিংয়ের পথেই একটা দিন কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে হাউসবোটে।
দূরে পাহাড়ের হাতছানি আর জলের মধ্যে ভাসতে ভাসতে সময় কাটানোর মতো রোমাঞ্চ আর কিই বা হতে পারে। যে শিলিগুড়ি ছুঁয়ে পর্যটকরা সোজা চলে যান দার্জিলিং বা সিকিমে, এবার সেই শিলিগুড়ির কাছেই গড়ে উঠেছে হাউসবোট পর্যটন। শিলিগুড়ি শহর ছাড়িয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা পেড়িয়েই পৌঁছে যাওয়া যাবে নকশালবাড়িতে। নকশালবাড়ির নাম শুনলেই কেমন একটা রাজনীতি রাজনীতি গন্ধ নাকে আসে। কিন্তু সে সব দিন ইতিহাস হয়েছে। এখন উত্তরবঙ্গ মানেই প্রকৃতি আর সেই প্রকৃতিকে কেন্দ্র করেই পর্যটনপ্রেমীদের আনাগোনা।
নকশালবাড়ির রূপেশকুমার মল্লিক গড়ে তুলেছেন হাউসবোট পর্যটন। সবুজের মাঝখানে ছোট্ট একটি জলাশয়কেই পর্যটন কেন্দ্র বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন রূপেশ। সেই জলেই ভেসে চলেছে ছোট্ট বাড়ি। ভিতরটাও সুন্দর করে সাজানো। দু’জনের থাকার মতো একদম হোমস্টে-র ঘর যেমন হয় তেমন। সঙ্গে জুটবে স্থানীয় চাষের অর্গানিক খাবার। দিনপ্রতি ১০০০টাকায় এমন শান্তি আর কোথায় পাওয়া যাবে।
উত্তরবঙ্গের মানুষদের মধ্যে ধিরে ধিরে এই জায়গার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। হোমস্টের মালিকের স্বপ্ন দ্রুত তাঁর এই অভিনব উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেবেন ভ্রমণপ্রেমী মানুষ। এই বাড়ি তৈরি করতে ইতিমধ্যেই তিনি খরচ করে ফেলেছেন প্রায় ১৪ লাখ টাকা। তার উপর রয়েছে হোমস্টে-র দেখভালের খরচ। তাই যত দ্রুত পর্যটকদের কাছে এই হোমস্টের খবর পৌঁছবে তত দ্রুত লাভের মুখ দেখবেন তিনি। তবে এটাও সত্যিই এমন উদ্যোগ খুব বেশিদিন মানুষের অগোচরে থাকবে না। তখন ডুয়ার্সের তালিকায় যুক্ত হয়ে যাবে আরও একটি ডেস্টিনেশন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google