ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিক্ষিকার বুদ্ধিতে ফ্লোরিডার স্কুলে প্রাণে বেঁচেছিল অনেকে

ফ্লোরিডার স্কুলে প্রাক্তন ছাত্রের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যখন তদন্ত চলছে, তখনই সামনে চলে এল এক ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিক্ষিকার সাহসের কাহিনী। তাঁর সাহস ও উপস্থিত বুদ্ধির জন্য বেঁচে গিয়েছে অনেক ছাত্রছাত্রী। তিনি শান্তি বিশ্বনাথন। যে সময় ওই ঘটনা ঘটে তখন তাঁর অঙ্কের ক্লাসে ছিলেন শান্তি। ঘাতক ছাত্রের বাজানো অ্যালার্ম শুনে প্রায় সব ক্লাস থেকেই বাইরে বেরিয়ে এসেছিল ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু শান্তি তাঁর ছাত্রদের বেরতে দেননি।

দ্বিতীয়বার যখন অ্যালার্ম বেজে ওঠে শান্তি বুঝে গিয়েছিলেন কিছুটা একটা অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটতে চলেছে। অ্যালজেব্রার ক্লাস চলছিল তখন। সেই প্রাক্তন ছাত্রের পরিকল্পনা না জানলেও গন্ডোগোলের আঁচ পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর ঘরের ছাত্র-ছাত্রীদের বাইরে যেতে না দিয়ে ক্লাসের সব দরজা, জানলা বন্ধ করে সবাইকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলেন তিনি। এক ছাত্রের মা জানিয়েছেন, ‘‘শান্তি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছিল। ও ওর বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছিল। যার ফলে অনেকে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।’’ যখন পুলিশ এসে সেই ক্লাসের দরজায় ধাক্কা দেয় তিনি সেই ছাত্র হবে ভেবে দরজাও খোলেননি। তিনি পাল্টা বলেন, ‘‘আমি দরজা খুলব না। চাবি দিয়ে খুলুন।’’ এর পর পুলিশ জানলা দিয়ে ঢুকে সবাইকে উদ্ধার করে।

পার্কল্যান্ডের স্টোনম্যান ডগলাস হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র নিকোলাস ক্রুজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ১৫ জন ছাত্র ও দু’জন স্টাফকে গুলি করে খুন করে। তাঁর কাছে ছিল এআর-১৫ অটোমেটিক রাইফেল। এই খুনের পিছনে তার কী উদ্দেশ্য ছিল সেটাও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে জানা গিয়েছে, নিকোলাসের ছোটবেলাটা খুব স্বাভাবিক নয়। এই ঘটনা ঘটানোর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন ঘটানোর বার্তাও দিয়েছিল সে।

সে দিন গুলি করে পালিয়েও গিয়েছিল ক্রুজ। ৪০ মিনিট পর প্রতিবেশির বাড়ি থেকে তাকে ধরে পুলিশ। যে অঞ্চলে এই স্কুল সেখানে ২২ হাজার ৬০০ জন ভারতীয়ের বাস। তবে কোনও ভারতীয়ের মৃত্যু তো হয়ইনি। বরং এক ভারতীয়ের বুদ্ধির জোড়ে বেঁচে গিয়েছে অনেকেই।