থাইল্যান্ডের গুহা থেকে দ্বিতীয় দিন উদ্ধার আরও ৪

থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধারগুহার মধ্যে ফুটবল দল। ছবি: টুইটার

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: থাইল্যান্ডের গুহা থেকে দ্বিতীয় দিন উদ্ধার আরও ৪। দু’সপ্তাহ গুহার মধ্যে আটকে থাকার পর রবিবার প্রথম উদ্ধারকার্যে সাফল্য আসে। গুহার ভিতর থেকে ডাইভাররা এক এক করে বের করে আনেন চারজনকে। সঙ্গে সঙ্গেই তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। তার পরই অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় ১০ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় উদ্ধারকাজ।

সোমবার ভোর হতেই আবার শুরু হয় উদ্ধারকাজ। দিনের আলো থাকা পর্যন্ত এ দিনই চারজনকেই উদ্ধার করতে পেরেছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। এখনও পর্যন্ত মোট আটজনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। থাইল্যান্ড নেভি সিল কমান্ডার সিথিচাই ক্লানপাত্তানা জানিয়েছেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত আটজনকে বের করে আনা গিয়েছে। আজ চারজনকে বাইরে আনা হয়েছে।’’ তবে তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। কোচসহ এখনও চারজন রয়েছে ভিতরে। যা খবর মোট ১২ জন ছিল দলে। এ দিন সকাল ১১টায় শুরু হয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের উদ্ধারকাজ।

থাইল্যান্ডের গুহা থেকে উদ্ধার চার ফুটবলার 

রবিবার সারারাত ওই এলাকায় বৃষ্টি হলেও সৌভাগ্যবশত গুহার ভিতরের জলস্তর বেরে যায়নি। সাময়িক বৃষ্টি কমলেও সারাদিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তার মধ্যেই শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের দূর্গম পথের উদ্ধারকাজ। গত ২৩ জুন দল নিয়ে ওই গুহায় ঢুকে আটকে পড়েছিলেন কোচ। তার পর ৯ দিন কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি কারও। ১০তম দিনে পুরো দলকে জীবিত অবস্থায় দেখতে পায় উদ্ধারকারী দল। তখন থেকেই চলছিল নানা পরিকল্পনা। একটা সময় তো মনে হয়েছিল বৃষ্টি না থামলে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। বর্ষাকাল এখানে চলবে চার মাস। কিন্তু অততদিন গুহার মধ্যে থাকলে জীবন সংশয় হতে পারে ভেবেই উদ্ধারের নতুন রাস্তা বের করা হয়।

২৩ জুন। কোচের সঙ্গে গুহা ভ্রমণে  গিয়ে হরপা বানে আটকে পরে গোটা ফুটবল দল।

২৫ জুন। থাই নেভি সিল ডাইভাররা দলের খোঁজে গুহায় ঢোকে।

২ জলাই। ‘ওয়াইল্ড বোর’ ফুটবল দলের খোঁজ মেলে ৯ দিন পর।

৪ জুলাই। ছেলেদের গুহার ভিতরেই শেখানো হয় কী ভাবে ডাইভিং মাস্ক ব্যবহার করে নিঃশ্বাস নিতে হবে।

৬ জুলাই। উদ্ধারকার্যে নেমে মৃত্যু হয় এক ডাইভারের।

৮ জুলাই। উদ্ধার কাজ শুরু। চারজন ফুটবলারকে বের করে আনেন ডাইভাররা।

৯ জুলাই। আরও চারজনে উদ্ধার করা হয়।

যে পথে উদ্ধার করা হচ্ছে ফুটবলারদের তার বিস্তার তিন ফিট চওড়া। দু’ফিট লম্বা। যেখানে অনেকবার আটকে গিয়েছেন ডাইভাররা। এর পর যে পথে গিয়ে পড়ছে সেটাকে বলা হচ্ছে ‘টি-জংশন’ এতটাই সংকীর্ণ পথ যে ডাইভারদের এয়ারট্যাঙ্ক খুলে হাতে নিতে হচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে ছেলেরা বেশ দুর্বল তাই পুরোটাই তাদের সম্পূর্ণ ফেস মাস্ক পরিয়ে আনা হচ্ছে। যাতে দমের ঘাটতি না হয়। কারণ এরা কেউই ডাইভিং জানে না। এই পুরো রাস্তা পার করতে সময় লাগছে পাঁচ থেকে ছ’ঘণ্টা। যে কারণে গোটা দিনে চার জনের বেশি উদ্ধার করা যাচ্ছে না।

দেখুন উদ্ধারের সেই ভিডিও