জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে ছড়াচ্ছে নিষিদ্ধ মাদক গোটা বিশ্বে। এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এক রিপোর্টে। যা নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছে গোটা বিশ্বের প্রশাসনের কপালে। এমনিতেই আফগানিস্তান তালিবানদের হাতে যাওয়ার পর থেকে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। জঙ্গি তৈরির কারখানা যে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে সেটাও ভাবাচ্ছে আমেরিকার মতো দেশকে। যে কোনও সময় সে দেশে আবারও হামলা হতে পারে বলে সে দেশের বিশেষজ্ঞরা আগাম সাবধান করেছেন। তার মধ্যেই এই নিষিদ্ধ মাদকের গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার খবরে নতুন করে চিন্তার বহর বেড়েছে।
আগে থেকে নিষিদ্ধ মাদক বা হেরোইনের জোগানের ব্যবস্থা ছিল আফগানিস্তানে। কিন্তু তালিবানরা সে দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের রোজগারের জায়গাটা বড় ধাক্কা খেয়েছে। আর এবার তা মেটাতেই নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসাকে নতুন করে চালাতে শুরু করেছে তালিবানরা। আর তাদের দৌলতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে সেই বিষ। এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাদক সন্ত্রাসবাদ’। আর তা নিয়ে চাঞ্চল্যকর রিপোর্টই এখন যে কোনও দেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে আফিম তৈরির স্বর্গরাজ্য এই আফগানিস্তান। বিশ্বের সব থেকে বেশি আফিম তৈরি হয় এখানেই। এই আফিম থেকেই তৈরি হওয়া হেরোইনের চাহিদা রয়েছে গোটা বিশ্বে। বিশেষ করে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বাজারে তার চাহিদা অনেক। আর সেই ব্যবসাকে চালাতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে তালিবানরা। ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ এই রিপোর্ট সামনে এনেছে। যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৮৭ শতাংশ আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে। আমেরিকা এই আফিম ব্যবসায় লাগাম টানার চেষ্টা করেছে বহুবার। তার পিছনে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারও খরচ করেছে। কিন্তু তা বাগে আনতে পারেনি।
ক্ষমতায় আসার পর অনেক কিছুই ভালমতো চালানোর দাবি জানিয়েছিল তালিবানরা। কিন্তু তার কোনওটাই তারা রাখেনি। তার মধ্যে অন্যতম ছিল মাদক ব্যবসা। মাদক ব্যবসাই এখন একমাত্র স্বাভাবিকভাবে চলছে আফগানিস্তানে। সেখান থেকে আফিম চলে যাচ্ছে পাকিস্তানের ল্যাবে। আর সেই ল্যাবেই তৈরি হচ্ছে হেরোইন এবং ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপের বাজারে। সেখান থেকে গোটা বিশ্বে। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া মাদকের গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার রাস্তা পাকিস্তানই।
১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবানরা। তালিবানরা দেশের দখল নিতেই সেই দেশ ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজতে শুরু করে নাগরিকরা। বিমান বন্দরের সেই সময়ের দৃশ্য গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। বিমান বন্দের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও বিভিন্ন বর্ডার দিয়ে এখনও আফগানরা দেশ ছাড়ছে। অন্য দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। আফগানিস্তান বর্ডারে থাকা দেশগুলো রীতিমতো সমস্যায় পড়েছে তাতে। তার মধ্যে প্রবল অর্থ সঙ্কট থেকে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে সেখানে। ভারত ইতিমধ্যেই সেখানে খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)