আফগানিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ, মৃত্যু শতাধিক বলেই মনে করা হচ্ছে

আফগানিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানের মসজিদে বিস্ফোরণ-এ মৃত্যু মিছিল। আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর তালিবানরা জানিয়েছিল, বদলে গিয়েছে তারা। শান্তির পথে হাঁটার বার্তাও দিয়েছিল। কিন্তু কোথায় কী? এতদিন কেটে গেলেও আজও রক্তাক্ত দেশ। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও গুলি চলছে তো কোথাও আত্মঘাতি বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তবে এদিনের ঘটনা নজিরবিহীন। উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের এক মসজিদে শুক্রবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। যার ফলে কম করে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। যদিও সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করা হয়নি।

গত ৩ অক্টোবর কাবুলের এক মসজিদে বিস্ফোরণে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর মাত্র ৫ দিনই কেটেছে। আবারও লক্ষ্যে সেই মসজিদ। কেন মসজিদকেই লক্ষ্য করা হচ্ছে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। তালিবানের মুখপাত্র জাবিনুল্লা মুজাহিদ বিস্ফোরণের কথা জানিয়ে টুইট করেছে। তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘আজ বিকেলে একটি মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেক।’’ তবে মৃতের সংখ্যা জানানো হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন সেই মসজিদে শুক্রবারের নমাজ পড়তে হাজির হয়েছিলেন বহু মানুষ। তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মসজিদ চত্তর। ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেখানে নমাজ পড়তে যাওয়া মানুষরা। গোটা মসজিদ চত্তরে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের দেহাংশ। আরও একবার সাধারণ মানুষের রক্তে রক্তাক্ত হয়ে উঠল আফগানিস্তানের একাংশ। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকেরই চিকিৎসা চলছে। অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এর আগের বিস্ফোরণের পর ইসলামিক স্টেটের দিকেই আঙুল তোলা হয়েছিল। সে দেশে তালিবান যতই জাঁকিয়ে বসুক না কেন আইসিসের সঙ্গে তাদের বিরোধ এখন তুঙ্গে। তার মধ্যে ইসলামিক স্টেটের খোরসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমরকে হত্যা করে তালিবানরা। মনে করা হচ্ছে পর পর আত্মঘাতি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারই বদলা নিচ্ছে ইসলামিক স্টেট। এর আগে কাবুল বিমানবন্দরেও আত্মঘাতি হামলা চালিয়েছিল তারা। তাতেও প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এখনও এদিনের বিস্ফোরণের দায় কেউ স্বীকার না করলেও মনে করা হচ্ছে একই পদ্ধতিতে আইসিস-ই এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)