জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Nepal Plane Crash-এ কেউ বেঁচে নেই, আগেই বোঝা গিয়েছিল। রবিবার কাঠমাণ্ডু থেকে ওড়া তারা এয়ারলাইন্সের ছোট বিমানটির ১৫ মিনিটের মধ্যেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর থেকেই শুরু হয় খোঁজ। প্রাথমিকভাবে কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি বিমানটির। তখনই ধরে নেওয়া হয়েছিল পাহাড়ের কোথাও ভেঙে পড়েছে বিমানটি। শেষ পর্যন্ত রবিবার দুপুরেই খাদে বিমানটির ধ্বংসস্তুপ দেখতে পায় উদ্ধারকারী দল। গত দু’দিনের চেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এই বিমান দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেক যাত্রীর দেহই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে নেপাল সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
এই বিমানে বিমানকর্মীসহ ছিলেন ২২ জন। ১৯ জন যাত্রী ও ৩ জন কর্মী। কাঠমাণ্ডু থকে মুস্তাংয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিমানটি। উদ্ধারকারী দলের তরফে খবর পাওয়া গিয়েছে বিমানের ব্ল্যাকবক্সও। সেটা বেস স্টেশনে পাঠানো হচ্ছে। সোমবার ২১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তার মধ্যে ১০ জনের দেহ বেস স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। কাঠমাণ্ডু বিমান বন্দরের মুখপাত্র টেকনাথ সিতুলা সোমবার জানিয়েছিলেন, এমআই-১৭ হেলিকপ্টারের সাহায্যে ১০টি দেহ বেসক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া গিয়েছে।
তিনি এও জানান, খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকার্যে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। ৫০-৬০ জন উদ্ধারকারী এই কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। তিনটি হেলিকপ্টার রাখা হয়েছে। যারা দুর্ঘটনাস্থল থেকে দেহ নিয়ে বেসক্যাম্পে পৌঁছে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে বিমানটি রবিবার ১৪,৫০০ ফিট উপর থেকে ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করে মেঘ আর তুষারপাত। এখনও পর্যন্ত অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী ২২ জনের মধ্যে ৪ জন ছিল ভারতীয়। মহারাষ্ট্রের পরিবার। ২ জন জার্মান ও বাকিরা স্থানীয় নেপালি।
ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তৈরি হয়েছে ৫ সদস্যের একটি দল। যার নেতৃত্বে থাকবেন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রতিশ চন্দ্র লাল সুমন। মঙ্গলবার ১২ জনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে কাঠমাণ্ডুতে। ২ জনের দেহ এদিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে খাবাং-মুস্তাং বেসক্যাম্পে। ১০ জনের দেহ সোমবারই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আবহাওয়া ঠিক থাকলে সকলের দেহই কাঠমাণ্ডুতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: Facebook, Twitter, Google