জার্মানিতে স্বাধীনতা, কোভিডের পুরো ডোজ নেওয়া থাকলেই হল

জার্মানিতে স্বাধীনতা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: জার্মানিতে স্বাধীনতা আনছে কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ। হ্যাঁ, এটাই সব থেকে বড় সত্যি এখন। পরাধীনতা গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। বাড়ির বাইরে বেরনো যাবে না। কারও সঙ্গে মেশা যাবে না, কোথাও যাওয়া যাবে না, আনন্দ করা যাবে না, আড্ডা মারা যাবে না, ভালবাসা যাবে না, আসলে তো স্পর্শই করা যাবে না। এই সব থেকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত জার্মানি। রবিবার থেকেই সেই মুক্তির স্বাদ পেতে শুরু কর জার্মানিবাসী। সরকারের তরফে আনা হয়েছে নতুন নিয়ম।

দেশের যাঁরা ভ্যাকসিনের পুরো ডেজ নিয়ে নিয়েছেন, তাঁদের জন্য কার্ফু নয়। সামাজিক মেলামেশাতেও তাঁদের দেওয়া হচ্ছে ছাড়। এই আওতায় পড়ছে সাত মিলিয়নেরও বেসি মানুষ। যাঁরা পুরোপুরি ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন বা এই ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

তাঁদের কোভিড নেগেটিভ পরীক্ষার ফলও দিতে হবে না বলে জানানো হয়েছে যদি তাঁরা হেয়ারড্রেসারের কাছে যেতে চান বা ‘ক্লিক অ্যান্ড মিট’ শপিং করার থাকে। এছাড়া বিদেশ থেকে যদি কেউ জার্মানিতে যান তাহলে তাঁকে কোয়রান্টিনে থাকতে হবে না যদি না তিনি বা তাঁরা সেই দেশ থেকে যান যেখানে ভাইরাস ভ্যারিয়েন্টের জন্য ঝুঁকি খুব বেশি রয়েছে।

তাঁদের সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে চলতে হবে। শপিংমল বা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হলে মাস্ক পরতে হবে। হাইজিন মেনে চলতে হবে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৬৪ শতাংশ জার্মান চাইছে যাঁদের ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে তাঁদের জন্য খুলে দেওয়া হোক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, থিয়েটার, সিনেমা হলের মতো জায়গা। তবে বার্লিনের মেয়র মাইকে‌ল মুলার সংশয় প্রকাশ করেছেন যে এটা দেখা খুবই কঠিন যে মানুষ নিয়ম মানছেন কিনা।

তিনি মানুষকে অনুরোধ করেছেন, যাঁরা রাস্তায় বেরবেন তাঁরা টেন সঙ্গে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট রাখেন। এপ্রিলে জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছিল। তার পর লকডাইনেও যায় দেশ। তবে যেসব জায়গায় ১০০-র উপর আক্রান্ত সেখানে। যেখানে তা নয় সেখানে সব খোলা রাখা হচ্ছে এবং তবে সঙ্গে রাখতে হবে নেগেটিভ সার্টিফিকেট।

এর পরই ক্রমশ জার্মানিতে সংক্রমণ কমতে থাকে। অনেক কিছু ২১ মে থেকেও খোলার কথা রয়েছে। যদিও দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিনস পান সাবধান করে বলেন, ‘‘এখনও তৃতীয় ঢেউ আসা বাকি রয়েছে। এবং সব কিছু খুলে দিলে আমরা ভাইরাসকেই সাহায্য করব। যা আমরা পেয়েছি তা হাতছাড়া করা যাবে না।’’ এই অতিমারির মধ্যে সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন তিনি। যাতে জার্মানিতে স্বাধীনতা দিতে গিয়ে হিতে বিপরিত না হয়ে যায়।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)