গলছে বরফ, যার ফলে ফ্লোরিডায় ৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত জমতে পারে জল

গলছে বরফ

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: গলছে বরফ, বিপুল পরিমাণে গলছে গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর। যা এই সপ্তাহের হিসেব। সম্প্রতি এই পরিমাণ বরফ ক্ষয়ের ঘটনা ঘটেনি। শেষ ঘটেছিল ১০৯৫০-এ। যাকে বিজ্ঞানীরা তৃতীয় সর্বোচ্চ বরফ গলার ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করছেন। ডেনমার্ক সরকারের বিশেষজ্ঞ যাঁরা বরফের চাদরের দিকে নজর রাখেন এটা তাঁদের ব্যাখ্যা। পোলার পোর্টাল নামে একটি ওয়েব সাইটে বিজ্ঞানীরা তাঁদের ব্যাখ্যার কথা জানিয়েছেন। এবং সঙ্গে তার ফলও কী হতে পারে তা জানিয়েছেন তাঁরা। শুধু বুধবার তৃতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ বরফ গলেছে গ্রিনল্যান্ডে। ১৯৫০-এর পর এই বরফ গলার ঘটনা ঘটেঢ়ি ২০১২ ও ২০১৯-এ।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০১৯-এ যেটা ঘটেছিল তা অনেকটা বেশি পরিমাণ বরফ গলেছিল। কিন্তু বুধবার যেটা হয়েছে সেটা অনেকটা বেশি অংশ নিয়ে হয়েছে। যা আতঙ্কের বলেই ব্যাখ্যা করছেন বিজ্ঞানীরা। বুধবার হিসেব বলছে ২২ গিগাটন বরফ বরফের চাদর থেকে গলে গিয়েছে। যার অর্ধেক ইতিমধ্যেই সাগরের জলের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। বাকি অংশ মিশলে বন্যার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।

বিজ্ঞানী জেভিয়ার ফেটওয়েস জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমাণে তুষারপাত বাকি ১০ গিগাটন জলকে পুনরায় বরফে পরিণত করতে পারে। জলবায়ুর আমূল পরিবর্তনই বরফ গলার কারণ। যেভাবে গরম হাওয়া আর্কটিক আইল্যান্ডের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তার ফলস্বরূপ বরফ গলছে। এবং ভয়ঙ্কর পরিমাণে বরফ গলে জলে পরিণত হচ্ছে। ডেনমার্কের আবহাওয়া দফতরের সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, গরমে উত্তর গ্রিনল্যান্ডের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাচ্ছে। যা আশঙ্কার।

বৃহস্পতিবার ওই এলাকার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ২৩.৪ ডিগ্রিতে। বরফে মোরা একটি দেশের এই তাপমাত্রা সেখানকার মানুষের কাছে অপ্রত্যাশি। সম্প্রতি গোটা বিশ্বেরও তাপমাত্রা অনেক পরিমাণে বেড়েছে। কানাডায় কিছুদিন আগে পর্যন্তও প্রবল গরমে মৃত্যুর খবর এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গ্রিনল্যান্ডের বরফের চাদর ১৯৯০ থেকে গলতে শুরু করে। ২০০০ থেকে তা ক্রমশ গুটিয়ে যেতে থাকে। তবে সম্প্রতি যা ঘটেছে তা ২০০০-এর আগের থেকে চারগুণ বেশি। গলছে বরফ, গোটা বিশ্বের বরফ গলে মিশছে নদীতে, সাগরে।  যার ফলে তৈরি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি। যা পরবর্তীতে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)