জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বয়স সবে ৮ (Handwritten Novel)। আর তাতেই বাজিমাত করেছে এই খুদে। লিখে ফেলেছে একটা আস্ত উপন্যাস। আর সেই উপন্যাসের টানেই লাইব্রেরির বাইরে ভিড় জমিয়েছে বইপ্রেমী সাধারণ মানুষ। এমনটাই ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ৮ বছরের ডিলন হেলবিগ তার নোটবুকে কিছু না কিছু লিখতেন সব সময়। সব বাচ্চারাই যেমনটা লিখে থাকেন। তাই বাড়ির কেউ আলাদা করে কখনও সেদিকে নজর দেয়নি। ছোট্ট ডিলনও যে সেটা নিয়ে খুব ভেবেছে তেমন নয়। কারণ ভাবার বয়সও নয়। মনের আনন্দেই যা করার সে করেছে। এর পরই ঘটল সেই ঘটনা।
একদিন ঠাকুমার সঙ্গে সে গেল পাড়ার গ্রন্থাগারে। সঙ্গে প্রিয় লাল রঙের সেই নোটবুক। বড়ই প্রিয় ছিল সেটা তাঁর। সেখানে সে মন দিয়ে লিখেছে তাঁর বাড়ির বড়দিন মানানোর কথা। নাম দিয়েছে, ‘দ্য অ্যাডভেঞ্চার্স অফ ডিলনস ক্রিসমিস’। ৮৮ পাতার একটা আস্ত উপন্যাস। কিন্তু লাইব্রেরিতে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ ডিলনের মাথায় একটা বুদ্ধি এল। সে ঠাকুমার চোখ এঁড়িয়ে তাঁর সেই লাল নোটবুকটি রেখে দিল ছোটদের বইয়ের জায়গায়। তার পর সেখান থেকে চুপচাপ বেরিয়ে গেল ঠাকুমার হাত ধরে।
এর পর কী মনে করে ঘটনার দুয়েকদিন পর ডিলন তার কাণ্ডের কথা তার ঠাকুমাকে জানাল। ডিলনের কথা শুনে ঠাকুমা ভাবল নোটবুকটা বুঝি হারিয়েই গেল। তাই তিনি ছুটলেন লাইব্রেরিতে। সেখানে গিয়ে লাইব্রেরিয়ানকে বিস্তারিক বললেন। আর তখনই আসল তথ্য দিলেন সেই লাইব্রেরিয়ান। তিনি জানালেন, মাত্র দু’দিনেই হাতে লেখা ডিলনের নোটবুকের চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে। নাম লিখিয়ে গিয়েছেন প্রচুর মানুষ তা পড়ার জন্য। সঙ্গে সঙ্গেই সেই খবর ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটে মাস দু’য়েক আগে। সেই লাইব্রেটির তরফে পুরো ঘটনাটি ফেসবুকে জানানো হয়।
ইতিমধ্যেই তা বেস্ট সেলারের আখ্যা পেয়েছে। ডিলন পেয়েছেন সেরা ইয়ং রাইটারের পুরস্কার ‘হুডিনি’। তার পরই সংবাদ মাধ্যমের সামনে চলে আসে ঘটনাটি। ডিলন রাতারাতি তারকা হয়ে উঠেছে। কিন্তু এত ছোট বয়সে তা বোঝার ক্ষমতা নেই ছোট্ট ডিলনের। তাঁকে নিয়ে কিন্তু মাতামাতি চলছেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ডিলনের নোটবুকের সমালোচনা। বিখ্যাত লেখকরাও তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)