জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুলের হাসপাতালে জঙ্গি হানা মঙ্গলবার। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। আহত কম করে ৫০। আফগানিস্তানকে কিছুতেই শান্ত করা যাচ্ছে না। তালিবানরা সে দেশের দখল নেওয়ার পর এবং সরকার গঠন করে আশ্বাস দিয়েছিল শান্তি ফিরবে দেশে। কারণ আগের তালিবানের থেকে এই তালিবান আলাদা। কিন্তু তেমনটা হচ্ছে না। পর পর আক্রমণে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে আফগানিস্তান জুড়ে। আফগান স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ওই হাসপাতাল চত্তরে দু’টি বিস্ফোরণের পাশাপাশি গুলি চলার ঘটনাও ঘটেছে।
এতদিন যত হামলা হয়েছে তার অনেকগুলোই জানা গিয়েছে আইসিসের। কিন্তু এই হামলার দায় এখনও পর্যন্ত কেউ নেয়নি। তালিবানরা আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর জঙ্গি সংগঠনগুলো সে দেশে ঘাঁটি গাড়তে শুরু করেঠে। এবং ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে বলেও খবর। এই হামলা তারই প্রতিফলন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর জঙ্গি সংগঠনগুলো শক্তিশালী হয়ে ওঠায় আক্রমণের আশঙ্কায় রয়েছে খোদ আমেরিকাও। এদিনের হামলার পিছনেও মনে করা হচ্ছে আইসিসেরই হাত রয়েছে।
খোরসানের অধিকার এখনও রয়েছে ইসলামিক স্টেটের হাতেই। যার ফলে তালিবানদের সঙ্গে সম্মুখসমরে না এলেও মাঝে মাঝেই হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে আমেরিকা সে দেশ থেকে সেনা তুলে নেওয়ার পর থেকেই এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের নাগরিকরা। এই পর্যায়ে তারা প্রথম হামলা চালায় বিমান বন্দরে। তাতে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রতিদিন তালিবানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট। দুই গোষ্ঠীই সুন্নি জেহাদি গোষ্ঠী কিন্তু ইসলাম ও তার ব্যাখ্যা বা মতবাদ নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে বিপুল মতবিরোধ। সে কারণেই দুই মেরুতে অবস্থান করে তালিবান ও ইসলামিক স্টেট।
এদিন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সেই হাসপাতালেই এক ডাক্তার সংবাদ সংস্থাকে জানান, তিনি হাসপাতালের মধ্যেই রয়েছেন। কিছুক্ষণ আগেই বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন তিনি। তাঁদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গুলির আওয়াজও ভেসে আসছে। তাঁর মনে হয়েছে হাসপাতালের ভিতরেই গুলি চলছে। তিনি যখন কথা বলেন, তখন তাঁর মনে হয়েছে ঘরে ঘরে ঢুকে গুলি চালানো হচ্ছে। এতক্ষণে তিনিও তার শিকার হয়েছেন কিনা তা কেউ বলতে পারবে না।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)