জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তান জ্বলছে এখনও। মনে করা হয়েছিল এবং তালিবানরা কথা দিয়েছিল শান্তি স্থাপনের, স্বাভাবিক জীবন যাপনের। তার কোনও চিহ্ন এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না আফগানিস্তান জুড়ে। প্রতিদিন কিছু না কিছু ঘটছে যাতে রক্ত ঝড়ছে। রবিবার তালিবান নেতার অন্ত্যেষ্টির সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কম করে ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই হামলার পিছনে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদের মায়ের অন্ত্যেষ্টিতেই ঘটেছে এই ঘটনা।
টুইট করে জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, কাবুলের ইদগাহ মসজিদের পাশেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত প্রায় ৩২। এই আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঘটনা আরও একবার প্রমান করল সে দেশে তালিবান বনাম ইসলামিক স্টেটের লড়াই রীতিমতো ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে। কিছুদিন আগেই তালিবানরা হত্যা করে ইসলামিক স্টেটের খোরসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমরকে। গত অগস্টের কাবুল বিমান বন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল তারা। এদিনের হামলা প্রাক্তন প্রধানের হত্যার বদলাও হতে পারে।
এদিকে এদিনই তার কিছুক্ষণ আগেই পাকিস্তানের আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত হয়েছে ৫ পাকিস্তানি জওয়ান। জানা গিয়েছে, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাক সেনবাহিনীর একটি কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ জওয়ানের। তাদের মধ্যে ৪ জন ছিল পাক ফ্রন্টিয়ার ফোর্সের সেনা। একজন ছিল লেভিস ফোর্সের সেনা। এই ঘটনা ইসলামাবাদকে জোড় ধাক্কা দিয়েছে বলেই খবর। ওয়াজিরিস্তান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটি। অতীতে এখানে জঙ্গি দমন অভিযানও চলেছে।
আফগানিস্তান দখলের পর হাক্কানি নেটওয়ার্কের শীর্ষ নেতাহের সরকারের পদে জায়গা দিয়েছে তালিবান। লস্কর টিটিপি-এর মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো তাতে নতুন করে তৎপর হয়ে উঠেছে। আর ওয়াজিরিস্তানে একচেটিয়া আধিপত্ত এই টিটিই জঙ্গিদের। দুটোর মধ্যে যোগ খুঁজছে পাকিস্তান প্রশাসন।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)