জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কাবুলে পাকিস্তান বিরোধী মিছিলে গুলি চালাল তালিবানরা সরকার গঠনের কিছুক্ষণ আগেই। তালিবানদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝেই বিরোধিতার পথে হাঁটছেন সেখানকার নাগরিকরা। এবার যেন অনেকটাই ভয়কে জয় করে ফেলেছেন তাঁরা। যে কারণে পুরো আফগানিস্তান দখল করার পরও কাবুলের রাস্তায় শতাধিক মানুষের মিছিল দেখা গেল। মিছিলের মূল বক্তব্য ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। আফগানিস্তানের বিষয়ে পাকিস্তানের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে। তিন সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে আফগানিস্তান চলে গিয়েছে তালিবানদের হাতে। একমাত্র বাকি ছিল পঞ্জশির তাও সোমবার দখল করেছে তারা। তার আগে থেকেই পাকিস্তানের নাম উঠে আসছিল। এই মিছিলের স্লোগান ছিল ‘ডেথ টু পাকিস্তান’ এবং ‘আমরা পাকিস্তানের হাতের পুতুল সরকার চাই না’।
মিছিল ভাঙতে হাওয়ায় গুলি চালায় তালিবান। মনে করা হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে পাকিস্তানের উগ্রপন্থী গোষ্ঠী আইএসআই। যারা নিয়মিত ভারতে আতঙ্ক ছড়িয়ে থাকে। মনে করা হচ্ছে তারাই হাত মিলিয়েছে তালিবানের সঙ্গে। আফগানিস্তানের নতুন সরকার গঠনের পিছনে তাদেরও ভূমিকা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই আইএসআই-এর বিরুদ্ধে ২০ বছর ধরে ভারত, আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের একাধিক দেশ লড়াই করছে। কিন্তু তাদের পুরোপুরি বাগে আনা যায়নি।
এদিন একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আইএসআই দূরে থাক।’ সেই প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন এক মহিলা। আফগানিস্তানের পাকিস্তান দূতাবাসের বাইরেই চলছিল সেই ধর্ণা। বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গুলির শব্দে রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। সেই মিছিলে থাকা এক বয়স্ক মহিলা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘‘ইসলামিক সরকার আমাদের গরীব মানুষদের উপর গুলি চালাচ্ছে। এই মানুষগুলো (তালিবান) নির্দয়, তারা আসলে মানুষ নয়।’’ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক যাঁরা এই প্রতিবাদ মিছিল কভার করছিলেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
টোলো নিউজের মুখ্য আধিকারিক লোতফুল্লা নাজাফিজাদা জানিয়েছেন, তাঁর সতীর্থ ওয়াহিদ আহমেদিকে কাবুলে তালিবানরা গ্রেফতার করেছে মিছিল কভার করার জন্য। তিনি ইতিমধ্যেই তাঁকে ছাড়ার জন্য তালিবানদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে আইএসআই চিফ ফৈজ হামিদ সপ্তাহান্তে কাবুলে ছিল। মনে করা হচ্ছে তালিবান কর্তাদের সঙ্গেই দেখা করতে পৌঁছেছিল সে।