জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাংলাদেশে লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়ল। ইদ শেষ হতেই দেশ জুড়ে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে শেখ হাসিনার সরকার। আগামী ৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে কড়া বিধিনিষেধ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আরও দু’সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। সরকারের আশা, এই ১৪ দিন যদি সকলে লকডাউন কঠোর ভাবে মেনে চলে, তা হলে করোনা সংক্রমণের এই তীব্র এবং আগ্রাসী চেহারা রুখে দেওয়া যাবে।
শুক্রবার দেশের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জনগণকে লকডাউন সংক্রান্ত কোনও রকমের গুজবে কান না দিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সর্বস্তরের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালে করোনাভাইরাসের চেন ভাঙা খুব একটা কঠিন হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘লকডাউনকে কার্যকর করতে এ বার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনা বাহিনীর সদস্যরা আরও কঠোর ভাবে সক্রিয় হবেন। আইন অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামতে বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের অফিসারদের।’’ বাংলাদেশ সরকার অল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিলেও একটা বড় অংশ আগামী ১৪ দিন লকডাউনের কড়া বিধিনিষেধের আওতায় থাকছে। বন্ধ থাকবে কার্ৎত সব কিছু।
সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, বিধিনিষেধ চলাকালীন ‘অতি জরুরি’ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বাইরে বার হওয়া যাবে না। পূর্ব ঘোষণা মতোই এই বিধিনেষেধেও বন্ধ থাকছে সমস্ত যান চলাচল। বন্ধ থাকছে সরকারি বেসরকারি অফিস, বিমান পরিষেবাও। সরকার নির্দেশ দিয়েছে, সমস্ত কাজ যত সম্ভব ভার্চুয়ালি করতে হবে। এ ছাড়াও বন্ধ থাকবে শপিং মল, বাজার, দোকানপাঠ, সমস্ত পর্যটন স্থল। তবে ছাড় রয়েছে খাদ্য পরিবহণ, দমকল, টেলি যোগাযোগ, ইন্টারনেট যোগাযোগের মতো জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সবজি বাজার খোলা রাখা যাবে। এ ছাড়া বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য বা বাইরে বিক্রির জন্য হোটেল, রেস্তরাঁ খোলা রাখা যাবে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৭ জনের জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই সময়ে আরও ৩ হাজার ৬৯৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই শনাক্তের হার ৩২.১৯ শতাংশ।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)