জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হুহু করে বাড়ছে North Korea Covid Case । যে দেশে গত ২ বছরে কোভিড ঢুকে পারেনি বলে দাবি করেছিল সরকার। সে দেশেই শেষ বেলায় রীতিমতো কোভিডের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ অবস্থা। কী ভাবে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না কিম জং। তিন দিন আগেই প্রথম সে দেশে কোভিড আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তার পরই রীতিমতো সে দেশে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় কঠিন নিয়ম। কিন্তু তার আগেই অনেকটা দেড়ি হয়ে গিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত সে দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৮২০,৬২০ জন। এবং এই সংখ্যাটা মাত্র তিন দিনের মধ্যে। এই আক্রান্তদের মধ্যে ৩২৪,৫৫০ জনের চিকিৎসা চলছে। মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। এ ছাড়া এও জানা গিয়েছে, আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে অজানা জ্বরে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের সন্দেহ সে দেশে প্রকৃত পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে কিনা বা চিকিৎসা।
ইতিমধ্যেই গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। অফিস, ফ্যাক্টরির, রেসিডেন্সিয়াল ইউনিটও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই উত্তর কোরিয়ার তরফে নিশ্চিত করা হয়েছিল, ভয়ঙ্কর ছোঁয়াচে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে। তার পরই দেশ জুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেন জং। তবে সে দেশের কেউই ভ্যাকসিনেটেড নন। এর আগে চিন ও ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের টিকা ফিরিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নতুন করে বেজিং আর সিওল সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
গত দু’বছর ধরে যখন গোটা বিশ্ব কোভিডের সঙ্গে লড়াই করছিল তখন দ্রুত বর্ডার বন্ধ করে দেশে কোভিড ঢুকতে দেয়নি সরকার। গত দু’বছরে সে দেশে কোনও কোভিড আক্রান্তের খবর ছিল না। এই প্রথম সেখানে কোভিড আক্রান্তের খবর এল এবং রাতারাতি তা অতিমারির রূপ নিল। এবং কোভিড না থাকায় এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিল দেশ যে কোনও কোভিড টিকাও নেই সে দেশের। সেই প্রচুর পরিমাণে পরীক্ষার ব্যবস্থাও। এই পরিস্থিতিতে গোটা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা রীতিমতো ধসে পড়েছে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)
