প্রজাতন্ত্র দিবসে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হয়ে আসছেন নয়াদিল্লিতে?

প্রজাতন্ত্র দিবসে শেখ হাসিনাশেখ হাসিনা

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক:  প্রজাতন্ত্র দিবসে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হয়ে নয়াদিল্লিতে আসছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এমনটাই হতে চলেছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-এর ২৬ জানুয়ারি ভারতের ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হতে পারেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রজাতন্ত্র দিবসে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হবেন, এই প্রস্তাবটি নিয়ে দু’দেশের সরকারি পর্যায়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে বলে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর ডিজিটাল মাধ্যমে খবর প্রকাসিত হয়েছে। যদিও ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এখনও সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি।

শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে দিল্লি এলে এই অনুষ্ঠানে প্রথম বারের জন্য বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। এর আগে প্রতিবেশী এই দেশের কোনও রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হননি বলেই ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রথম আলোর ওই খবরে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের স্বাধীনতার তিন বছর পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি সংবিধান সমর্পিত হয়। প্রজাতন্ত্র ভারতের পথচলার সেই শুরু। সেদিন থেকে শুরু আনুষ্ঠানিক প্যারেড, যা ১৯৫৫ সাল থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে প্রশস্ত রাজপথে। এই প্যারেড হয়ে উঠেছে ভারতের শক্তি, সমৃদ্ধি ও বৈভবের গৌরবগাথা। বিদেশি রাষ্ট্রনায়কেরা যার সাক্ষী থেকেছেন। প্যারেডে ফ্রান্স ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনানী ও তাদের ব্যান্ড যথাক্রমে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে অংশ নিলেও বাংলাদেশের বাহিনীর মতো কুচকাওয়াজের সূচনা কেউ করেনি। সেই দিক থেকে ৭২তম প্রজাতন্ত্র দিবস ছিল ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাছেই অনন্য ও অভিনব।

‘‘যে দেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত সক্রিয় অংশ নিয়েছিল, যে দেশকে ভারত ‘সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য প্রতিবেশীর’ স্বীকৃতি দেয়, ৫০ বছরে সেই দেশের রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথির মর্যাদা কেন দেওয়া হয়নি, তা বিস্ময়কর! অথচ ভারতের প্রতিবেশীদের কেউ কেউ একাধিকবার এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছেন। দেশ হিসেবে ভুটান এসেছে চারবার। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা দুবার। মালদ্বীপ, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার একবার করে। অবিভক্ত পাকিস্তানও অংশ নিয়েছে দুবার, ১৯৫৫ ও ১৯৬৫ সালে।

‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে দুই দেশেই বছরব্যাপী চলছে নানান অনুষ্ঠান। গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সে দেশে যাবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

‘‘তার ঠিক আগে ৬ ডিসেম্বর ভারতে এক অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু স্মারক ভাষণ দেবেন বঙ্গবন্ধুর অপর মেয়ে শেখ রেহানা। শেখ হাসিনা প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতে এলে বছরব্যাপী চলা এই উদ্‌যাপন এক ভিন্ন মাত্রা পাবে।’’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)