জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: পাক সীমান্তে আফগান নাগরিকদের ভিড়, এমন ছবিই ধরা পড়েছে উপগ্রহচিত্রে। সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম ওই ছবি প্রকাশ করেছে সোমবার। যেখানে দেখা গিয়েছে, মরিয়া আফগান নাগরিকেরা তাঁদের দেশ আফগানিস্তান ছেড়ে পালানোর জন্য ভিড় করেছেন পাকিস্তানের বিভিন্ন সীমান্তে।
গত ১৫ অগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করে তালিবান। তার পর থেকে মরিয়া আফগান নাগরিকের দেশ ছাড়ার হিড়িক দেখা দেয় কাবুল বিমানবন্দরে। বিমানে ঝুলে পালানোর চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। তাতে মৃত্যুও হয় কয়েক জনের। সেই সময় আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তান, ইরান, উজবেকিস্তান এবং তাজিকিস্তানের বিভিন্ন সীমান্তে ভিড় দেখা যায়। কিন্তু সোমবার ওই সংবাদমাধ্যম যে উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে পাক সীমান্তে আফগান নাগরিকদের ভিড় গত সপ্তাহে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেশছাড়ার মরিয়া চেষ্টা করছেন। তারই অপেক্ষায় রয়েছেন ওই সীমান্ত এলাকায়।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের চমন সীমান্তে ভয়াবহ ভিড়। ওই এলাকাটি স্পিন বলদাকের মধ্যে পড়ে। সেখানকার উপগ্রহচিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ। স্পিন বলদাক ছাড়া আফগানিস্তানের অন্যতম সীমান্ত শির খান। সেটি তাজিকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত। ইসলাম কালা ইরানের সঙ্গে। পাকিস্তানের সঙ্গে তোরখাম। কিন্তু আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে চমন সীমান্ত সবচেয়ে ব্যস্ত। সেই সীমান্তেই সকলে পরিবার নিয়ে বাচ্চা, ব্যাগ ও জিনিসপত্র-সহ অপেক্ষা করছে সীমান্ত পেরনোর জন্য। তাঁদের বেশির ভাগেরই বাড়ি কাবুল বা অন্য কোনও শহর এলাকায়। ওই সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, উপগ্রহচিত্রগুলি সবই ৬ সেপ্টেম্বরের। যদিও চমন সীমান্ত পাকিস্তান সম্প্রতি বন্ধ করে দিয়েছে।
আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শেষ হওয়ার পরে যে এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে আগেই আঁচ করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন। সংস্থার হাই কমিশনার শাবিয়া মান্টো গত মাসে আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। যদিও তাজিকিস্তান ছাড়া অন্য প্রতিবেশীরা এখনও নীতিগত ভাবে গৃহহীন আফগানদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এমনকি, আফগান শরণার্থীদের সীমান্ত লঙ্ঘন আটকাতে তালিবান এবং পাক আধাসেনার যৌথ ভাবে নজরদারির খবরও সামনে এসেছে।
অন্য দিকে, তালিবান কাবুল দখল করার পর প্রাণ বাঁচাতে বহু আফগান সাংসদ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে তাদের অভিযোগ। এ বিষয়ে তালিবানের বক্তব্য, পরবর্তী আফগান সরকার বিরোধী নেতাদের ভারত যদি রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় এবং সেই সব নেতা যদি ভারতের মাটিতে বসে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, তবে তালিবানও তার পাল্টা জবাব দেবে।
(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)