জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: Ukrain আক্রমণ করল Russia, আটকে বহু ভারতীয়। মাথার উপর দিয়ে বিপুল গর্জন করে হুশ হুশ করে উড়ে যাচ্ছে যুদ্ধবিমান। শহর জুড়ে আপৎকালীন সাইরেনের আওয়াজ। রাস্তায় সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে। রাজধানী কিভ ছেড়ে পালানোর চেষ্টায় শশব্যস্ত মানুষ। বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফুটতেই যেন আমূল বদলে গিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভের ছবিটা।
সকালেই রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনের উপর হামলার ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই একের পর এক রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চলছে কিভে। বোমারু বিমানগুলি শহর কাঁপিয়ে উড়ে যাচ্ছে। নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গাড়ি নিয়ে শহর ছাড়ছে মানুষ।
ইউক্রেনের এক সাংসদ সোফিয়া ফেডিনা বৃহস্পতিবার সকালেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রুশবাহিনীর হামলা থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে তাঁদের বাঙ্কারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ওই বাঙ্কারগুলিতে নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু সরকারের সেই আশ্বাসে যেন ভরসা রাখতে পারছেন না কিভের বাসিন্দারা। রাশিয়াও যেমন দাবি করেছে, জনবসতি এলাকায় নয়, ইউক্রেনের সামরিক এবং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে। রাশিয়ার সেই আশ্বাসেও ভরসা রাখতে পারছেন না ইউক্রেনের নাগরিকরা।
#Kremlin: Meeting with representatives of Russian business circles https://t.co/66hNUWSVoh pic.twitter.com/V0Y9p0K9T5
— President of Russia (@KremlinRussia_E) February 24, 2022
বহু মানুষ আবার মেট্রো স্টেশনের ভিতরে আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে ক্রমে মেট্রো স্টেশনগুলি ভরে উঠছে নাগরিকদের ভিড়ে। মেট্রো স্টেশনগুলি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বোমাবর্ষণেও সেগুলি রক্ষা করতে পারবে আশ্রিতদের। তাই যাঁদের শহর ছাড়ার উপায় নেই তাঁরা মেট্রো স্টেশনগুলিকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। চার দিকে কচিকাঁচা, জোয়ান থেকে বয়স্কদের ভিড়। সকলের মুখেই একটা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। মেট্রো স্টেশনগুলি যেন এক লহমায় অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতেই কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। ওই বৈঠকের পর বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা জানান, রাতেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী।
ওই বৈঠকের খানিক পরেই মোদীর সঙ্গে পুতিনের কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, শুরুতেই রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কট বর্তমানে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, তা মোদীকে বিস্তারিত জানান পুতিন। এর পরেই মোদী বলেন, রাশিয়া এবং ন্যাটো গোষ্ঠীর মধ্যে ‘মতভেদ’ সুস্থ আলোচনার মধ্যে সমাধান করা সম্ভব। তবে তার আগে হিংসা থামানোর আর্জি জানান মোদী। তিনি পুতিনকে বলেন, সমস্যার সমাধানে সব পক্ষকেই আগে উদ্যোগ নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার পরিসর তৈরি করতে হবে। আটকে থাকা ভারতীয়দের ইউক্রেন তেকে উদ্ধার করা হবে বলেও জানান শ্রিংলা।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)