জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। দু’টি সংস্থাই আর্থিক সঙ্কটে জর্জরিত হয়ে পড়ছিল।
ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং মহানগর টেলিফোন নিগম লিমিটেড (এমটিএনএল) এই দুই রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থার জন্য প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকার পুনরুজ্জীবন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…
দুই টেলিকম সংস্থা মিশিয়ে দেওয়ায় নীতিগত সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানিয়েছেন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। স্বেচ্ছাবসর দেওয়া হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব কর্মীদের। বিএসএনএল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এ দিনের ঘোষণার পর সেই শঙ্কা অনেকটাই কাটল বলে মনে করা হচ্ছে।
এমটিএনএল দিল্লি ও মুম্বইয়ে টেলিফোন পরিষেবা দেয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, ‘‘বিএসএনএল, এমটিএনএল বন্ধ হচ্ছে না। বিলগ্নিকরণ হচ্ছে না। তৃতীয় পক্ষের হাতেও তুলে দেওয়া হচ্ছে না। বরং আরও প্রতিযোগী, পেশাদার করে তোলা হচ্ছে।’’
বিএসএনএল-এমটিএনএলের কর্মীদের মাইনে দিতেই মোট খরচের প্রায় ৭০ শতাংশ টাকা খরচ হয়। অথচ বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি অনেক কম কর্মী নিয়েও ভাল পরিষেবা দেয় বলে টেলিকম শিল্প মহলের মত। তাদের মতে অন্যান্য সংস্থায় ওই খরচের পরিমাণ মোট খরচের মাত্র ৫ শতাংশ। কর্মীদের একটা বড় অংশকে স্বেচ্ছাবসর দিয়ে বেতন খাতে খরচ কমিয়ে আনতে চাইছে সরকার।
Today when the Govt of PM @narendramodi has given such a liberal revival package to BSNL and MTNL, I urge the employees of both the companies to work hard to make these entities profitable and professional. pic.twitter.com/rMG6YL0RJw
— Ravi Shankar Prasad (@rsprasad) October 23, 2019
বিএসএনএল পুনরুজ্জীবনের প্রকল্পকে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী। এ দিন তাঁর টুইট, প্রথম ধাপ: সংযুক্তি, দ্বিতীয় ধাপ: ভুল পরিচালনা, তৃতীয় ধাপ: বিপুল ক্ষতি দেখানো, চতুর্থ ধাপ: সস্তায় প্রাণের বন্ধুদের কাছে সংস্থাটি বেচে দেওয়া।
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)