শোভন চট্টোপাধ্যায় ফের স্ত্রী রত্নার নামে অভিযোগ নিয়ে থানায়

শোভন চট্টোপাধ্যায়শোভন চট্টোপাধ্যায়

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আবারও স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন। গত মঙ্গলবার বেহালার পর্ণশ্রী থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। শোভনবাবুর অভিযোগ, তাঁর বেহালার বাড়িতে নিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীদের হেনস্থা করা হয়েছে।

মেয়রের পর্ণশ্রীর বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী রত্না গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সম্পত্তি সরিয়ে দিতে পারেন। শোভনের আশঙ্কা এমনটাই। পুলিশের কাছে অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, পর্ণশ্রীর বাড়িতে তাঁর বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি ও সম্পত্তি রয়েছে। সেগুলি যাতে কেউ নষ্ট না করতে পারে, বা অন্য কারও হাতে চলে না যায়, তাই গত পয়লা বৈশাখের আগেই একটি বেসরকারি সংস্থার দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বহাল করেন শোভন। বাড়ির উপর নজরদারির পাশাপাশি সেখানে কারা আসছে তাদের নাম ও ঠিকানাও লিখে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, বেশ কয়েক দিন ধরেই রত্না নাকি ওই নিরাপত্তারক্ষীদের কোনও কাজ করতে দিচ্ছেন না। পুলিশের কাছে এমন অভিযোগই করেছেন মেয়র। ওই নিরাপত্তাকর্মীদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওই সংস্থা।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই পর্ণশ্রী থানাতেই এফআইআর করেন শোভন। তাঁর বেহালার বাড়ি থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে সেই সময় থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে শোভন তাঁর স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছেন। সেই মামলা এখন চলছে আদালতে। কিছু দিন আগে আদালতে রত্নাদেবী জানিয়েছিলেন, থানাকে প্রভাবিত করে তাঁর বাড়ির উপর নজরদারি করছেন মেয়র। তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও তিনি অবিযোগ করেন আদালতে।

মেয়রের নিরপত্তা জেড প্লাস থেকে কমে জেড

তবে, রত্নার বিরুদ্ধে এর আগেও থানায় অভিযোগ করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই পর্ণশ্রী থানাতেই এফআইআর করেন শোভন। তাঁর বেহালার বাড়ি থেকে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে সেই সময় থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

নভেম্বরেই বেহালার বাড়ি ছেড়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাটে উঠে এসেছিলেন শোভন। সেখানেই তিনি এখন থাকেন। ওই ফ্ল্যাট থেকে দুষ্কৃতী দিয়ে তাঁকে উৎখাত করতে চাইছেন রত্না, এমন অভিযোগ নিয়ে গত ১২ মার্চ রবীন্দ্র সরোবর থানায় যান মেয়র। জানান, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদনও করেন তিনি।